বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আবিস্কার করলেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস

Author Topic: বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আবিস্কার করলেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস  (Read 1350 times)

Offline Kanij Nahar Deepa

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 291
  • Faculty
    • View Profile
বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের বিজয় রথ এগিয়ে চলেছে। এবারের সাফল্য এসেছে একজন তরুণ নারী বিজ্ঞানীর হাত ধরে। আয়েশা আরেফিন টুম্পা ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করেছেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস। যে কারণে বিষয়টি আরো বেশি আনন্দের। কারণ, বাংলাদেশ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই দেশগুলোর মাঝে একটি যেখানে নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা অনেক কম। অনেক মেয়েরই স্বপ্ন থাকে বিজ্ঞানী হবার। কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা আর অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত অনেক কুসংস্কার মেয়েদের এই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এত বাঁধা-বিপত্তির মাঝেও অনেক মেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের স্বপ্নের পথে।

২০১১ সালে আমেরিকার আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির গবেষক ক্রিস ডেটার বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক কাজে এসে এরকমই এক সম্ভাবনাময় জিনবিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিনের দেখা পান। ডেটার ও তাঁর সহকর্মী ল্যান্স গ্রিনের একান্ত সহযোগিতার ফলেই আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পান। আয়েশা তার যুক্তরাষ্ট্রের জীবনের প্রথম দিন গুলোতে ডেটারের বাড়িতেই থাকতেন। আয়েশা আরেফিন, যার ডাক নাম টুম্পা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট করছেন। একই সাথে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে চলছে তাঁর গবেষণা।

আয়েশা তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে। এরপরেই ঐ ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সঙ্ক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন। অপ্টোজেনিকস হচ্ছে জিন-বিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশল(ইঞ্জিনিয়ারিং) এর মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়বিক কাজ (neuron activity) নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব।

আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অংগ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। তাঁরা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, Chronic Obstructive Pulmonary Disease এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা ও এর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা।। এটি হচ্ছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ রোগ যাতে আমেরিকার অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আয়েশা একই সাথে বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধি ও মস্তিষ্কে রক্ত-ক্ষরণ নিয়েও গবেষণা করছেন।

বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা ভবিষ্যতে দেশে ফিরে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। দেশে থাকাকালীন সময়ে তিনি নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি এইচ আই ভি/এইডস নিয়ে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর ইচ্ছা দেশে এসে নিজের বাড়িতে একটি স্কুল খোলার। যেখানে যে কোন শিশু বিজ্ঞান ও গণিত পড়ার সুযোগ পাবে।

আয়েশা আন্তরিকভাবেই বিশ্বাস করেন ভাগ্য ও আশেপাশের কিছু মানুষের সহযোগিতা ছাড়া তাঁর এই সাফল্য আসতো না। তিনি বলেন, “ আমি আমার গবেষণাগারের, এর মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দিত যে ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ পেয়েছি”।

তিনি আরো বলেন লস আলামসে কর্মরত অন্য অনেক দেশের গবেষক বিশেষ করে মন্টেনিগ্রোর গবেষক Momo Vuyisich তাঁর জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

 Ref:দ্যা বাংলাদেশ হেরাল্ড | বাংলার ২৪ ঘণ্টা
Kanij Nahar Deepa
Lecturer
Dept. of Pharmacy
Daffodil International University

Offline A.S. Rafi

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 672
    • View Profile
Abu Saleh Md. Rafi
Senior Lecturer,
Department of English.
Faculty of Humanities and Social Sciences
Daffodil International University.