হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ
তাআলা যে স্বচ্ছল সামর্থ্যবান ব্যক্তি সত্ত্বর
হজ্ব আদায় করে না তাকে হতভাগা ও বঞ্চিত
আখ্যায়িত করেছেন।
আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করেছেন-
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার বান্দার
শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিযিক ও আয়-
উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর
অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহের
হজ্বের উদ্দেশ্যে আগমন না করে তবে সে
হতভাগ্য, বঞ্চিত।
-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস :
৩৬৯৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস : ১০৩১;
তবারানী, হাদীস : ৪৯০; সুনানে কুবরা বায়হাকী
৫/২৬২; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫২৫৯
শুধু তাই নয়, একসময় বায়তুল্লাহ উঠিয়ে নেয়া
হলে মানুষ হজ্ব করতে পারবে না এই আশঙ্কার
কারণেও আল্লাহর রাসূল উম্মতকে তাড়াতাড়ি
হজ্ব করার হুকুম করেছেন। ইবনে উমর রা. হতে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
তোমরা হজ্ব ও উমরার মাধ্যমে এই
(বায়তুল্লাহ) গৃহের উপকার গ্রহণ কর। কেননা
তা ইতিপূর্বে দু’বার ধ্বংস হয়েছে। তৃতীয়বারের
পর উঠিয়ে নেওয়া হবে।-সহীহ ইবনে খুযাইমা,
হাদীস : ২৫০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস :
৬৭১৮; মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১০৭২;
মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস : ১৬৫২
হজ্ব করার শক্তি-সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত
থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ্ব করে না তার
সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর হুমকি প্রদান
করা হয়েছে। ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলেন-
যে ব্যক্তি হজ্ব করার সামর্থ্য রাখে, তবুও
হজ্ব করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি
খৃস্টান হয়ে তার কোনো পরোয়া আল্লাহর
নেই।-তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৭৮