কোথাও তুমি নেই, বাদশাহ নামদার!
চারিদিকে শুধু শূন্যতা আর হাহাকার!
কিন্তু তুমি ছিলে, কয়েকদিন আগেও ছিলে, ভীষণরকম ছিলে,
মহাপুরুষ, এখন কোথায় আছ তুমি?
সারাক্ষণ মনে পড়ে তোমাকে, মনে পড়ে সারাক্ষন!
চলে এসো এক মুঠো রং পেন্সিল হাতে নিয়ে।
আজও মাথার উপর চাঁদ উঠে, আসমান ভাইঙ্গা জোছনা পড়ে
এই সেই জোছনা! মনে আছে? যা দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলে-
’দেখো দেখো চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর’
কিন্তু প্রান্তরে গৃহত্যাগী তোমাকে হাঁটতে দেখিনা!
এমন জোছনায় তোমার কি হাঁটতে ইচ্ছে করে না?
চেয়ে দেখ, আজও কালো মেঘে আকাশ ঢাকে
অঝোর শ্রাবণ ঢোলের মতো আজও ঝরে বৃষ্টি।
তেমনি আজো বর্ষা আসে, আমি এবং আমরা একাই ভিজি,
অপেক্ষা! তুমি আসবে বলে, বৃষ্টি বিলাস করবে বলে
কিন্তু তুমি আসনা! তোমার কি বৃষ্টি বিলাস করতে ইচ্ছে করে না?
আচ্ছা, তোমার কি সমুদ্রবিলাস করতে ইচ্ছা করে?
তবে সাগর পাড়ে এসো, কেয়া ও ঝাউবীথির মাঝে দারুচিনি দ্বীপে,
এসে দেখ, মৃন্ময়ীর মন সত্যি ভালো নেই আজ!
তোমার কি প্রিয় গানগুলো আবার শুনতে ইচ্ছে করে?
প্লিজ তবে এসো, তোমার ‘টেপরেকর্ডার’ এর কাছে
এসে আবার বল-‘তোমার গান আমার কত পছন্দ!’
চলে এসো, তোমার প্রিয় জায়গাগুলোতে
১৩ নভেম্বর, ধানমন্ডির দখিনা হাওয়ায় এসো!
ময়ুরাক্ষীর পাড়ে এসো, একাকী হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে!
নুহাশ পল্লীতে এসো, তেতুল বনে জোছনা ছড়াতে!
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে এসো, সৌরভ হয়ে! অথবা-
শহীদ ফয়জুর রহমান পাঠাগারে এসো, নিশীথিনী হয়ে!
অমর একুশে বইমেলায় এসো, মধ্যবিত্ত জীবনের কথকতা নিয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে এসো, অধ্যাপক মিসির আলি হয়ে।
শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে হাঁটতে এসো, হলের হাউজ টিউটর হয়ে।
‘বৃদ্ধ বোকা সংঘের’ আড্ডায় এসো, জোছনা ও জননীর গল্প শুনাতে।
অন্যদিন এর ঈদ সংখ্যায় এসো, তোমার সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড নিয়ে।
‘যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো, তুমি চলে এসো, এক বরষায়’।
- See more at:
http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/9272/7056