প্রথম কয়েকটা ওভার দেখে শুনেই খেললেন। কিন্তু তাঁর যে তর সইছিল না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন দিনের পঞ্চম ওভারে ব্রেসওয়েলকে পর পর দুটো চার মেরে। পরের ওভারেই বোল্ডকে চার মারতে গিয়ে বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এই বুঝি এত কাছে এসেও ফিরে যেতে হয়। ভাগ্য ভালো, দ্বিতীয় স্লিপে কোনো ফিল্ডার ছিল না।
কিন্তু ভাগ্যও তো সাহসীদের পাশেই থাকে। প্রতিকূল স্রোতে দাঁড় বাইতে নামা অসম সাহসী মমিনুল বোল্টের পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে দুটো চার মেরে পৌঁছে গেলেন সেই জাদুকরী অঙ্কে। সেঞ্চুরিটা এল চোখ ধাঁধানো শটে। কাভার পয়েন্ট দিয়ে হাঁটু গেড়ে করা স্কয়ার ড্রাইভে। মাত্র ৯৮ বলেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন মমিনুল!
সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই মমিনুল অবশ্য নিজের দায়িত্ব শেষ মনে করেননি। এগিয়ে চলেছেন দেড় শতকের দিকে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সঙ্গী সাকিব আল হাসান ব্যাট করছেন নয় রানে। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৩০৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
আগের দিনের সঙ্গী মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে ভালোমতোই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম সেশনটা পার করার ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন। কিন্তু অভিষিক্ত মার্শাল, অনেক পরিণত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়ে আসা সেই মার্শালই স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। মমিনুলের অভিষেক সেঞ্চুরির কয়েক ওভার পরেই অ্যান্ডারসন পেয়ে গেলেন ‘অভিষেক’ উইকেট! ভেঙে গেল ১২৬ রানের অসাধারণ জুটিটা। আর পাঁচটি রান করতে পারলেই তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে জুটির রেকর্ড করতে পারতেন। ১৩০ রান নিয়ে যে রেকর্ডটা এখন জাভেম ওমর-মোহাম্মদ আশরাফুল জুটির দখলে।
http://www.prothom-alo.com/sports