« on: October 20, 2013, 12:29:10 PM »
মাংসের ক্যালোরি কম করার ৬টি সহজ উপায়!
কোরবানির ঈদের পর তো ফ্রিজ ভরা গরু কিংবা খাসীর মাংস থাকে। কিন্তু উচ্চ রক্ত চাপ, কোলেস্টেরল আর মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে শান্তিতে গরুর মাংস খাওয়ার কোনো উপায়ই নেই। চোখের সামনে টেবিল ভরা মজার মজার মাংস রান্না চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় নেই আপনার। কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাও তো মহা মুশকিল!
যাদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে কিংবা এতো চর্বি যুক্ত মাংস খাওয়া মানা তাঁরা কোরবানির ঈদে পরেন মহা বিপাকে। ঘরে এতো মাংস কিন্তু চর্বির জ্বালায় খাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই বলে কি অল্প মাংসও খাবেন না? যতই নিষেধ থাকুন এই ঈদে অল্প করে হলেও মাংস খাওয়া হয়। আর তাই মাংস খাওয়া উচিত অতিরিক্ত চর্বি ফেলে যাতে এই অল্প একটু মাংসই আপনার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করতে না পারে। কেননা চর্বি ফেলে দিলে মাংসের ক্যালোরি নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে। আসুন দেখে নেয়া যাক চর্বি এড়িয়ে কিভাবে মাংস খাওয়া যায়।
১)রান্না করার আগেই চর্বি ফেলে দিন
মাংস রান্না করার আগে মাংসের গায়ে গায়ে লেগে থাকা চর্বির আস্তরণ আলাদা করে ফেলে দিন। এক্ষেত্রে বেশ ধারালো ছুরি বা বটির সাহায্যে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে মাংসের টুকরা থেকে ছোট বড় সব চর্বি চেছে ফেলে দিন। ছুরি বা বটিতে ধার না থাকলে চর্বি ফেলতে বেশ সমস্যা হবে। তাই আগে থেকেই ধার করিয়ে নিন এগুলো।
২)ছোট ছোট টুকরা করুন
গরু/ খাসীর মাংস রান্না করার সময় ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। ছোট ছোট টুকরা করে কাটলে অল্প খেলেই মনে হয় অনেক টুকরা খাওয়া হয়ে গেছে। তাই তুলনামূলক ভাবে কম মাংস খাওয়া হয়। তাছাড়া ছোট ছোট করে টুকরা করলে রান্না করার সময় ভেতর থেকে চর্বি গুলো বের হয়ে আসে। তাই মাংস রান্না করার আগে বড় টুকরা না করে ছোট করে টুকরা করুন।
৩)গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
মাংস ছোট করে টুকরা করে নেয়ার পর ধোয়ার পালা। মাংস ধোয়ার আগে চুলায় কিছুটা পানি গরম করে নিন। এবার গরম পানি দিয়ে মাংস ধুয়ে নিন। গরম পানি দিয়ে মাংস ধুলে পানির সাথে বেশ কিছুটা চর্বি গলে বের হয়ে যায়।
৪)অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়ান
গরুর মাংসে কিংবা খাসীর মাংসে তো এমনেই অনেক চর্বি থাকে যেগুলো গলে তেল বের হয়। তাই গরুর মাংস রান্না করার সময় খুব বেশি তেল ব্যবহার না করাই ভালো। খুব সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে রান্না করলেও গরুর মাংস সুস্বাদু হয়। তাই অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করে পরিমিত তেলে রান্না করুন। সম্ভব হলে অলিভ অয়েল বা ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করুন।
৫)মাংস ঠান্ডা করে চর্বির আস্তরণ ফেলুন
হয়তো খেয়াল করেছেন যে কোরবানির মাংস রান্না করার পরে ঠান্ডা হয়ে গেলে উপরে বেশ পুরু একটি হলদে আস্তরণ জমে। এটা চর্বির আস্তরণ। তাই মাংস রান্না করার পর ঠাণ্ডা করে রেখে দিলে উপরে যে আস্তরণটি জমে সেটা চামচ দিয়ে পুরোটা উঠিয়ে ফেলে দিন। বেশ অনেকটা চর্বি মুক্ত হয়ে যাবে মাংস।
৬)ঝলসানো মাংস খান
গতানুগতিক ধাঁচের মাংস ভুনার চাইতে মাংসের ঝলসানো কাবাবে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। মাংস পোড়ালে কিংবা ঝলসে নিলে মাংসের চর্বি গুলো গলে গলে ঝরে যায়। তাই শিক কাবাব কিংবা বারবিকিউ করা মাংসে চর্বির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। ভুনা মাংস এড়িয়ে ঝলসে কাবাব করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ঝোল বা ভুনা মাংসে ঝোল খাওয়াটা বাদ দিন।
মনে রাখুন, সপ্তাহে দুদিনের বেশি নয়
যতই চর্বি ফেলে দেয়া হোক, মাংস থেকে চর্বি কখোনই ১০০% যায় না। চর্বি ফেলে মাংস খাওয়া কিছুটা নিরাপদ হলেও প্রতিদিন খাওয়া ঠিক না। তাই সপ্তাহে দুবারের বেশি খাসী/গরুর মাংস খাবেন না।
- www.priyo.com

Logged
Farhana Israt Jahan
Assistant Professor
Dept. of Pharmacy