লেনদেন ভারসাম্য: আশা জাগানিয়া শুরু

Author Topic: লেনদেন ভারসাম্য: আশা জাগানিয়া শুরু  (Read 1105 times)

Offline maruppharm

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1227
  • Test
    • View Profile
আগের অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় লেনদেন ভারসাম্যে বড় উদ্বৃত্ত নিয়েই ২০১৩-১৪ অর্থবছর শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার, যা বছরের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

 
 

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

অর্থবছরের সাড়ে তিন মাসের মাথায় রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

লেনদেন ভারসাম্যে এই স্বস্তির পেছনে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমদানি ব্যয় বাড়ার পরও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারার কারণে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত রয়েছে।”

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

ফরাসউদ্দিন বলেন, গত কয়েক বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল আমদানি করতে হয়নি। দেশে বর্তমানে ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। ফলে আগামী এক থেকে দেড় বছর চাল আমদানির প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।

“সে বিবেচনায় আমদানি ব্যয় খুব বেশি বাড়বে বলে মনে হয় না। এ অবস্থায় রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা গেলে চলতি অর্থবছর শেষেও লেনদেন ভারসাম্যে বড় ধরনের উদ্বৃত্ত থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।”

নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় চলতি হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। এই হিসাব উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো, নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।

২০১২-১৩ অর্থবছরে লেনদেন ভারসম্যে মোট উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২৫২ কোটি ৫০ লাখ (২ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) ডলার।

তার আগের ২০১১-১২ অর্থবছরে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ঘাটতি ছিল। আর ২০১০-১১ অর্থবছরে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার।


 
বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ের বাণিজ্য ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে।

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি ডলার।

গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

২০১২-১৩ অর্থবছরে পুরো সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭০১ কোটি ডলার। ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ৯৩২ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি খাতে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) মোট ৫৭৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। আর পণ্য রপ্তানি থেকে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) আয় হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

এই হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৯ কোটি ডলার।

তবে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে এ খাতের ঘাটতি ছিল ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে ৫৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মূলত বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে জুলাই-অগাস্ট সময়ে দেশে ২৯ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল। চলতি বছরের একই সময়ে এসেছে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

এই সময়ে পুঁজিবাজারে (পোর্টফোলিও বিনিয়োগ) ১০ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ এসেছে। গত বছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে এসেছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

http://bangla.bdnews24.com/economy/article687798.bdnews
Md Al Faruk
Assistant Professor, Pharmacy