Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith
Know about Islam & Hadith
ariful892:
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ ও হযরত তালহা ইবনে সাহল আনসারী (রা) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সাহায্য হতে এমন সময় হাত গুটিয়ে নেয় যখন তার ইজ্জতের উপর হামলা হচ্ছে এবং তার সম্মানের ক্ষতি করা হচ্ছে; তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাকে এমন সময় নিজের সাহায্য হতে বঞ্চিত রাখবেন যখন সে আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্যের আগ্রহী ( ও তলবকারী) হবে। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের এমন সময় সাহায্য ও সহানুভূতি করে যখন তার ইজ্জতের উপর হামলা হচ্ছে ও সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা এমন সময় তাকে সাহায্য করবেন যখন সে আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্য প্রার্থনা করবে।
{ আবু দাউদ, হাদিস- ৪৮৮৪}
ariful892:
সাঈ’দ ইবনে আবি হেলাল রহমাতুল্লহ আ’লাইহি হইতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে আ’মর রদিয়াল্লহু আ’নহুমা হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি কে বললেন, আমাকে হযরত মুহা’ম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উম্মতের গুনাগুন সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, আমি আল্লহ তায়া’লার কিতাবে (অর্থাৎ তাওরাতে) তাঁর সম্পর্কে এইরূপ পেয়েছি, “আহমাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী হবে, তাঁরা ভাল-মন্দ সর্বাবস্থায় আল্লহ তায়া’লার প্রশংসাকারী হবে। প্রত্যেক উঁচু জায়গায় (উঠতে) তাঁরা আল্লহু আকবার বলবে এবং প্রত্যেক নিচু জায়গায় (নামতে) তাঁরা সুবহানাল্লহ পড়বে। তাঁদের আযানের ধ্বনি আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হবে। পাথরের উপর মৌমাছির মৃদু গুঞ্জনের ন্যায় নামাযের মধ্যে তাঁদের (কুরআন পাঠের) মৃদু গুঞ্জন (শ্রুত) হবে। ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায় তাঁরা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে। নামাযের কাতারের ন্যায় যুদ্ধের ময়দানে কাতারবন্দী হয়াে দাঁড়াবে। যখন তাঁরা আল্লহর রাহে জিহাদে বাহির হবে তখন তাঁদের সামনে ও পিছনে মজবুত বর্শা হাতে ফেরেশতাগণ থাকবেন। আর যখন তাঁরা যুদ্ধের ময়দানে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে তখন আল্লহ তায়া’লা তাঁদের উপর এমনভাবে ছায়া করবেন–বলে হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি দু হাত প্রসারিত করে দেখালেন–যেমন শকুন তাহার বাসার উপর ছায়া করে থাকে। তাঁরা কখনও যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করবে না।” (আবু নুআঈম)
হযরত কা’ব রহমাতুল্লহ আ’লাইহি হতে অপর এক রেওয়ায়েতে এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁর উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী হবে, তাঁরা সর্বাবস্থায় আল্লহ তায়া’লার প্রশংসা করবে এবং প্রত্যেক উঁচু স্থানে আল্লহু আকবার বলবে। (নামায ইত্যাদি ইবাদাতের সময় নির্ধারণের জন্য) সুর্যের খেয়াল রাখবে। ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গায় হলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামায সময় মত আদায় করবে। কোমরের মধ্যস্থলে লুঙ্গি বাঁধবে এবং অযুর মধ্যে আপন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করবে। (আবু নুআঈম)
{হায়াতুস সাহাবাহ ১/৩১-৩২}
ariful892:
(হযরত লুকমান আপন ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেন, হে বৎস) মানুষের সহিত অনজ্ঞাসূচক ব্যবহার করিও না এবং জমিনের উপর দম্ভভরে চলিও না। নিশ্চয়ই আল্লহ তায়া’লা দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তুমি নিজ চলনে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করিও এবং (কথা বলিতে) নিম্নস্বরে বলিও অর্থাৎ শোরগোল করিও না। (উচ্চ আওয়াজে কথা বলা যদি কোন ভালগুণ হইত তবে গাধার আওয়াজ ভাল হইত; অথচ) সমস্ত আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ হইতেছে গাধার আওয়াজ
(সুরা লুক্বমানঃ ১৮-১৯)
ariful892:
হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত, আমি হাবশার বাদশাহ নাজাশীকে বলতে শুনেছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সেই রাসূল, হযরত ঈসা ( আ) যার সুসংবাদ দিয়েছেন। যদি আমার দায়িত্বে রাজ্যের নানা কাজ ও মানুষের দেখভালের দায়িত্ব না থাকত তাহলে আমি তাঁর খেদমতে হাযির হয়ে তাঁর জুতা উঠাতাম।
{ সুনান আবু দাউদ,হাদিস-৩২০৫, সুনান বাইহাকী-৪/৫০}
ariful892:
****ফরজ গোসলে নাক এবং কানে ছিদ্রে অলংকার না থাকলে তাতেও পানি পোঁছানো আবশ্যক, আর অলংকার পরা থাকলে নাড়া-চাড়া দিয়ে পানি পোঁছাতে হবে। এছাড়া হাতের আংটি টাইট থাকলে সেটাও নাড়া-চাড়া দিয়ে নিতে হবে। নতুবা ফরজ গোসল আদায় হবে না। তবে ফরজ গোসল ছাড়া অন্যান্য গোসলে ছিদ্রে পানি না পোছলে সমস্যা নেই। বাকি হাতের আংটির ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে অযুর সময়ও, কারণ হাত ধোয়া অযুতেও ফরজ।
****আবু হুরাইরা [রাযি] থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, "খাবার খেয়ে শোকর আদায়কারী 'সংযমী রোজাদারের' ন্যায়।" [তিরমিজী শরীফ]
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version