Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

Know about Islam & Hadith

<< < (2/5) > >>

ariful892:
কুরআনে কারীম তিলাওয়াতের তিনটি বিশেষ উপকার
=============================

১. দিলের জং (গুনাহের কালিমা) মুছে যায়।
(শুআবুল ঈমান ৩ : ৩৯, হাঃ নং ১৮৫৯)

২. আল্লাহ তা‘আলার মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়।
(সূরা আনফাল, ২/ শুআবুল ঈমান, ৩ : ৩৯৪, হাঃ নং ১৮৬৩)

৩. প্রত্যেক হরফে কমপক্ষে ১০টি করে নেকী পাওয়া যায়, না বুঝে পড়লেও। (তিরমিযী, হাঃ নং ২৯১০, মুস্তাদরাক, হাঃ নং ২০৪০) কেউ যদি বলে, না বুঝে পড়লে কোন লাভ নেই, তার এই কথা ঠিক না।

ariful892:
@@আয়েশা [রাযি] বলেন, "নবী [সা] ঘরে কোন (প্রানীর) ছবি-মূর্তি কিছু পেলে ছাড়তেন না, বরং তা সাথে সাথে ভেঙে ফেলতেন বা নষ্ট করে ফেলতেন।"

---- সহিহ বুখারী, ২/৮৮০


@@হযরত ওমর [রাযি] এর ব্যাপারে বর্ণিত, তিনি কুরআনে কারীম প্রতিদিন সকালে নিয়ে চুমু খেতেন। আর বলতেন-এটা আমার রবের নির্দেশনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত। এমনিভাবে হযরত উসমান [রাযি]ও কুরআনে কারীমকে চুমু খেতেন এবং চোখে বুলাতেন।


---তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৫৯


@@হযরত আমের ইবনে রবীআহ রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি-আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম।

{মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭}

ariful892:
##হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, শ'বে মি'রাজে আমার সামনে দুটি পেয়ালা উপস্থাপন করা হয়েছে। তন্মধ্যে একটি মদ, অপরটিতে দুধ ছিল। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম। (আমার সঙ্গী) ফেরেশতা বললেন, আল্লাহর শোকর, যিনি আপনাকে সত্য দীনের ধারক করে প্রেরণ করেছেন- যদি আপনি মদের পেয়ালাটি স্পর্শ করতেন তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হতে যেত।

{ বুখারী,হাদিস-৩৩৮৪, মুসলিম,হাদিস-২৭২, তিরমিযি,হাদিস-৩১৩০, তোহফাতুল আশরাফ-১৩২৭০}

##হযরত আবু উমামা (রা) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি আমার পরবর্তী খলীফাকে আল্লাহ্‌ তা'আলাকে ভর করার ওসিয়ত করছি এবং তাকে মুসলমানদের জামাত সম্পর্কে এই ওসিয়ত করছি যে, সে যেন মুসলমানদের বড়দের সম্মান করে, তাদের ছোটদের উপর রহম করে, তাদেরে উলামাদের ইজ্জত করে, তাদেরকে এইরূপ প্রহার না করে যে, অপদস্থ করে দেয়। তাদেরকে এমন ভয় দেখায় না যে, কাফের হয়ে যায়। তাদেরকে খাসী না করে যে, তাদের বংশ খতম হয়ে যায় এবং আপন দরজা তাদের ফরিয়াদ শুনার জন্য বন্ধ না করে দেয়, যার কারণে শক্তিশালী লোক দুর্বলদেরকে খেয়ে ফেলে; অর্থাৎ জুলুম ব্যাপক হয়ে যায়।

{সুনান বাইহাকী- ৮/১৬১}

ariful892:
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন নূহ আলাইহিস সালামের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসল তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন তোমাকে দুটি উপদেশ দিচ্ছি।

১. لا إله إلا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠের নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা সাত আসমান সাত যমীন যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অন্য পাল্লায় لا إله إلا الله রাখা হয় তাহলে لا إله إلا الله এর পাল্লা ভারি হবে।

২. سبحان الله وبحمده (সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি) পাঠ করবে। কেননা তা প্রত্যেক বস্ত্তর সালাত এবং তাসবীহ এবং এর দ্বারা সৃষ্টিজীবকে রিযক পৌঁছানো হয়।

{মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৫৮৩, ৭১০১}

===================================================================


হযরত উম্মে ইসমাহ আওসিয়াহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন কোন মুসলমান গুনাহ করে তখন যে ফেরেশতা গুনাহ লেখার কাজে নিযুক্ত আছেন, তিনি সেই গুনাহ লেখতে তিন মুহূর্ত অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য থেমে যান। যদি এই তিন মুহূর্তের (অর্থাৎ কিছু সময়) কোন সময়ে আল্লাহ্‌ তা'আলার নিকট নিজের সেই গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে নেয়; তবে সেই ফেরেশতা আখেরাতে তাকে সেই গুনাহের ব্যাপারে জানাবে না এবং কিয়ামতের দিন (সেই গুনাহের কারণে) তাকে আযাব দেওয়া হবে না।

{মুস্তাদরাকে হাকিম,হাদিস- ৭৭৪১, মু'জামুল আওসাত,হাদিস-১৬, মারিফাতুস সাহাবা,আবু নাইম,হাদিস-৭৪৫৯}

ariful892:
আবু বকর সিদ্দিক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিনের ক্ষতি করে বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে ব্যক্তি অভিশপ্ত।

{মিরকাত-৫০৪২,তিরমিযি-১৮৬১}
=====================================================================
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তার হাত ধরতেন। অতপর ঐ ব্যক্তি হাত টেনে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি তার হাত ছাড়তেন না।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৪২' মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৮৪, হাদীস : ১৭০৯২}
=====================================================================
সাহল বিন সাদ রা. বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি মসজিদে এসে নামাযের অপেক্ষা করবে (ঐ সময়টি) সে নামাযে আছে বলে গণ্য হবে।

{সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৭৩৩}

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version