ঘৃতকুমারীর রস (অ্যালোভেরা)
যাদের হজমে প্রায়ই গন্ডগোল হয় তাঁরা ঘৃতকুমারীর রস খেলে উপকার পাবেন। ঘৃতকুমারীর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা হজম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ঘৃতকুমারীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। ঘৃতকুমারী পাতা থেকে চামচ দিয়ে রস বের করে নিন। এরপর এই রসে কিছুটা পানি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খান। তাহলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।
মৌরি
যে কোনো মশলার দোকানেই মৌরি কিনতে পাওয়া যায়। খেতে কিছুটা মিষ্টি স্বাদের এই মশলাটি। প্রতিবার খাওয়ার পরে অল্প কিছু শুকনো মৌরি চিবিয়ে খেয়ে নিন। সকালের নাস্তায়, দুপুরের খাবারে কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার পড়ে আধা চামচ বা তার চেয়ে একটু কম শুকনো মৌরি ভালো করে চিবিয়ে গিলে ফেলুন। শুকনা গিলতে সমস্যা হলে একটু পানি দিয়ে গিলুন। নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা দূরে থাকবে চিরকাল এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
আদা ও লেবু
হজমের গন্ডগল ঠিক করতে আদাও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন এটা প্রস্তুত করার নিয়ম।
১ চা চামচ আদা বাটা
অর্ধেকটা লেবুর রস
এভাবে সব উপকরন হাল্কা গরম পানির সাথে এক সাথে মিশিয়ে পান করুন। হজমের গন্ডগোল থেকে নিস্তার মিলবে।
ইসবগুল
দীর্ঘমেয়াদি হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যন্ত প্রচলিত একটি পদ্ধতি হলো ইসবগুলের সরবত খাওয়া। ইসবগুলের সরবত খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।
পেঁপে বা আনারস খান
পেঁপে হজম সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উপকারী ফল। এতে আছে পাপেইন ও কাইমোনপ্যাপাইন নামক এনজাইম। এই দুটি এনজাইমই হজমে সহায়ক। এই এনজাইম দুটি পেট পরিষ্কার করে এবং হজম সমস্যার সমাধান করে।
আনারসে ব্রোমেলাইন এনজাইম আছে। ব্রোমেলাইন বদহজমের জন্য দ্বায়ী প্রোটিনগুলোকে ধ্বংস করে। ফলে আনারস খেলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া ও বদহজম সমস্যার সমাধান হয়।
এই দুটি ফল জুস করে কিংবা টুকরো করে চিবিয়ে খেলে পেটের সব ধরণের হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এসিডিটি হলে পেঁপে বা আনারস খেলে তা অ্যান্টাসিডের কাজ করে।