শীতবস্ত্রের বিকল্প ব্রেসলেট!

Author Topic: শীতবস্ত্রের বিকল্প ব্রেসলেট!  (Read 1092 times)

Offline maruppharm

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1227
  • Test
    • View Profile
আসছে শীত। আলমারিতে তালাবদ্ধ গরম কাপড় বের করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় শীতের কাপড়চোপড় কিনতে হবে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এসব গরম কাপড়ের ওপর নির্ভর করে আসছে। কিন্তু একদল মার্কিন গবেষক দাবি করছেন, হাতের কবজিতে পরিধানের উপযোগী একটি বিশেষ তাপ-বৈদ্যুতিক যন্ত্র (ব্রেসলেট) ব্যবহার করলে আর কোনো শীতবস্ত্রের প্রয়োজন পড়বে না। শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধিতে ওই ব্রেসলেটই যথেষ্ট।
শরীরে সহনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখতে ভারী কাপড় ব্যবহারের ঝক্কির কথা বাদ দিলেও রয়েছে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা। তা ছাড়া ভবনের ভেতরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জন্য বর্তমান বিশ্বে খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও বিদ্যুৎশক্তি। এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে প্রতিটি বাড়ির তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে গড়ে খরচ পড়ে ৬১০ ব্রিটিশ পাউন্ড। আর যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাসাবাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন ভবনের শীতলীকরণ যন্ত্রের পেছনে ব্যয় করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একদল গবেষক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মানুষের এসব সমস্যার কথা চিন্তা করেই তৈরি করেছেন বিশেষ একটি ব্রেসলেট। এটি এমন এক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, যা মানুষের শরীরে পরিহিত অবস্থায় থেকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। গবেষকেরা বিদ্যুৎ-নিয়ন্ত্রিত ওই ব্রেসলেটের নাম দিয়েছেন রিস্টিফাই। এটি মানবদেহের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় তাপ তরঙ্গ হাতের মধ্য দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে পাঠায় এবং শরীরের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। এমআইটিতে গত মাসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক একটি প্রতিযোগিতায় এই ব্রেসলেট প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

রিস্টিভাইয়ের গঠন সম্পর্কে গবেষকেরা বলেন, এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি তামার যৌগের তাপ পরিবাহক (হিটসিংক), যা ত্বকের মধ্য দিয়ে তাপ তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয়। যন্ত্রটিতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে একটি লিথিয়াম পলিমার তড়িৎকোষ বা ব্যাটারি, যা টানা আট ঘণ্টা মানবদেহে তাপ সরবরাহ করতে পারে।

রিস্টিফাই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত গবেষক স্যাম শেমস বলেন, তাঁদের তৈরি ব্রেসলেটটি হাতের কবজিতে পরলে সেটি শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন নিখুঁতভাবে শনাক্ত করতে পারে। তাই এটি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও বিদ্যুৎ খরচ করে, তা থেকে রেহাই পাবে।

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রিস্টিফাই উৎপাদনের জন্য বর্তমানে কাজ করছেন গবেষকেরা। এটি শিগগিরই বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইনডিপেনডেন্ট।
Md Al Faruk
Assistant Professor, Pharmacy