খাবার ভাল রাখতে করণীয়
খাবারদাবার সবসময়ই পঁচনশীল বস্তু হিসেবে বিবেচিত। ফ্রিজে না রেখে বাইরে বের করে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জন্য রেফ্রিজারেটরও ভালোমতো কাজ করতে পারে না। অথচ আসন্ন উৎসবে বিভিন্ন আইটেমের খাবার রান্নার ধুম পড়ে যাবে। তাই কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার কিছু করণীয় বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন।
♦ রান্না করা খাবার এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ এই সময়ের মধ্যেই খাবার নষ্ট হয়।
♦ রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
♦ বেশি পরিমাণ খাবার রান্না না করে প্রয়োজনমতো রান্না করতে হবে। বেঁচে যাওয়া ভাত রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন।
♦ ডাল, সেদ্ধ আলু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাওয়ার পর বাকি অংশ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে।
♦ রেফ্রিজারেটর বেশি খুললে ও বন্ধ করলে ভেতরে বাতাস ঢুকে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বেশি খোলা যাবে না এটি।
♦ যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে না যায়।
♦ রান্নাঘরে দরজা, জানালা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বাতাস না ঢুকলে খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
♦ কাঁচা মাছ বা মাংস ভালো করে ধুয়ে বরফের চেম্বারে রাখতে হবে। মাছ-মাংস বরফ গলিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না, তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
♦ কাঁচা সবজি, কাঁচামরিচ ঠেসে না রেখে বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে রাখতে হবে কারণ এগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
♦ যাদের রেফ্রিজারেটর নেই তাদের জন্য খাবার সংরক্ষণের জন্য প্রথমে বড় বেতের ঝুড়ি নিয়ে চারদিকে পাটের চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চটের কিছু অংশ ঝোলানো থাকবে। অন্য একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার ওপর ইট রেখে ঝুড়িটি রাখতে হবে। ঝুড়ির চটের ঝোলানো অংশ পানিতে থাকবে। এতে পানি ও ফলমূল ঠাণ্ডা থাকবে।