ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৬ উপায়
diabaticপ্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। তা সত্ত্বেও যদি কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, তখন চলে আসে প্রতিকারের প্রশ্ন। কিন্তু, ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগটা একেবারে নির্মূল করার নজির খুবই সামান্য। এ রোগটার প্রধান প্রতিকার হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার বহু উপায় আছে। এর মধ্যে কিছু উপায় আছে, যেগুলো অনুসরণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই দিয়ে থাকেন। এ ধরনের ৬টি উপায় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো:
১) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুনির্দিষ্ট সময় পরপর স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করাবেন।
২) যাদের ওষুধ খেতে হয় কিংবা ইনসুলিন নিতে হয়, তাদের উচিত চিকিৎসকের নির্ধারণ করে দেয়া মাত্রা ও পরিমাণ অনুযায়ী তা করা। নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেয়া-ছাড়ায় বিপদ আপনারই। পরিমাণটা নির্ধারণেও নিজে ডাক্তারি না করাই শ্রেয়।
৩) ডায়াবেটিস মানেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা। তবে, নিজের ডায়াবেটিসের ধরন সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানাটা অপরিহার্য। আপনার কি করণীয় ও বর্জনীয়, সে সম্পর্কে জানুন। পত্র-পত্রিকায় ডায়াবেটিস নিয়ে লেখা বিভিন্ন আর্টিকেল, বই ও ম্যাগাজিন নিয়মিত পড়–ন। টেলিভিশনে ডায়াবেটিস বিষয়ে কোন অনুষ্ঠান হলে, তা মনোযোগ দিয়ে দেখুন। নিজের স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
৪) ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। আপনার ডায়াবেটিসের ধরন অনুযায়ী খাবার একটি তালিকা তৈরি করে নিন বা আপনার চিকিৎসককে একটি খাদ্য-তালিকা তৈরি করে দেয়ার অনুরোধ করুন। সেটা কঠোরভাবে মেনে চলুন।
৫) ডায়াবেটিস সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিজে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
৬) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, তার সঙ্গে নিয়মিত আধ-ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। এর সঙ্গে সপ্তাহে ৩-৫ দিন যোগব্যায়াম ও খালি হাতে ব্যায়াম আপনাকে রাখবে আরও বেশি সতেজ ও চনমনে। বয়স অনুযায়ী শরীরচর্চা করা উচিত। তাই প্রথমেই চিকিৎসক ও একজন সুদক্ষ ব্যায়াম প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত পরিশ্রম থেকেও সাবধান।
collected