ক্যালাজিয়ন
এটি হচ্ছে বিমোমিয়ান গ্রন্থির প্রদাহজনিত গ্রানোমালা। দেখতে গন্ডিকাকৃতি এবং সাধারণত অক্ষিপল্লবের প্রান্ত হতে একটু দূরে হয়। ইনফেকশন না হলে ব্যথা হয় না। ছোট আকারের ক্যালাজিয়ন বিনা চিকিৎসায় সেরে যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে আবার বহুদিন অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে। অনেক সময় ক্যালাজিয়ন ফুলে ব্যথা হয় এবং ভেতরের বা ত্বকের দিকে ফেটে যায়। বড় ক্যালাজিয়ন হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। এই অস্ত্রোপচার অক্ষিপল্লবের ভেতর দিক কেটে করা হয়। ফলে অক্ষিপল্লবে কোনো কাটার দিক থাকে না।
অ্যানট্রোপিয়ন
এই রোগ হলে অক্ষিপল্লব পাপড়িসহ চোখের ভেতরে ঢুকে থাকে। নেত্রস্বচ্ছে পাপড়ির আঘাত লাগার ফলে চোখ খচখচ করে। মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে এবং চোখের প্রদাহ দেখা দেয়। কর্ণিয়ার প্রদাহে, বার্ধক্যে ও বহুদিন চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা থাকলেও এ রোগ হতে পারে। অনেক সময় অক্ষিপল্লবে আঘাতজনিত কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। বার্ধক্যজনিত কারণে অ্যানট্রোপিয়ন সাধারণত নিচের অক্ষিপল্লবেই দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় পাপড়িসহ অক্ষিপল্লবেই দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় পাপড়িসহ অক্ষিপল্লব চোখের ভেতর থেকে বাইরে রাখতে পারলে এ রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
একট্রোপিয়ন
এ রোগে অক্ষিপল্লবের বাইরের দিক উল্টে যায়। বার্ধক্য ও অবসন্নজনিত কারণে এবং অরবিকুলারিস মাংসপেশির খিঁচুনির জন্য একট্রোপিয়ন দেখা দিতে পারে। এ রোগ সারাতে প্লাস্টিক সার্জারির দরকার পড়ে।
Health news and Information.