পানি বাহিত রোগঃ আমাশয়

Author Topic: পানি বাহিত রোগঃ আমাশয়  (Read 2130 times)

Offline snlatif

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 267
    • View Profile
পানি বাহিত রোগঃ আমাশয়
« on: November 22, 2013, 11:53:37 AM »
বন্ধুদের সাথে বাইরে খেয়েছেন, ফুচকা, সালাদ, সাথে পানিও খেয়েছেন। পরের দিন অফিস বা ক্লাসে গিয়ে সুস্থির হয়ে বসতেই পেটে মোচড় দিয়ে উঠলো, শুরু হল ক্রমাগত বাথরুমে যাওয়া-আসা। সাথে এলো জ্বর এবং মলের সাথে আম এবং রক্ত পড়া। খুব সাধারণ একটি দৃশ্য আমাদের দেশে এটি এবং এমন পরিস্থিতিতে পড়েননি এমন বাংলাদেশী খুব কমই পাওয়া যাবে। উপরের যে সাধারণ সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার নাম আমাশয় বা ইংরেজিতে Dysentery. এদেশের মানুষের কাছে যেটি খুব পরিচিত একটি রোগ। আমাশয় মূলত দুই ধরণের, অ্যামিবিক এবং ব্যাসিলারি। অ্যামিবিক আমাশয়ের মূলে রয়েছে এককোষী অ্যামিবা এবং ব্যাসিলারি আমাশয়ের মূলে রয়েছে একটি ব্যাক্টেরিয়া যার নাম সিগেলা/ shigella. এই দুই ধরণের আমাশয়ই মূলত আমাদের দেহে প্রবেশ করে দূষিত পানি এবং খাবারের মাধ্যমে। আক্রান্ত ব্যক্তির মলের সাথে বেরিয়ে আসা জীবাণু দ্বারা দূষিত পানি দিয়ে ধোয়া খাবার যেমন ফল, সালাদ খাওয়া, অবিশুদ্ধ পানি পান এগুলো আমাশয়ে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ। আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিকভাবে হাত পরিস্কার না করে থাকলে তার কাছ থেকেও ছড়াতে পারে আমাশয়। মাছির মাধ্যমেও জীবাণু খোলা খাবারে সংক্রমিত হতে পারে। আমাদের দেশে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের পরে আমাশয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আমাশয়ের উপসর্গের মাঝে রয়েছে মোচড় দিয়ে পেটে ব্যাথা, বার বার মল ত্যাগ করা, মলের সাথে আম অথবা রক্ত যাওয়া, সাথে জ্বর থাকা, অ্যামিবিক আমাশয়ের ক্ষেত্রে মলে হাল্কা দুর্গন্ধ হতে পারে। ডায়রিয়ার সাথে আমাশয়ের একটা পার্থক্য হচ্ছে ডায়রিয়ায় মলে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে আর আমাশয়ে মলে পানির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে। মলের সাথে রক্ত গেলে তাকে বলা হয় রক্ত আমাশয়। আক্রান্ত ব্যক্তির অন্ত্রের দেয়াল যখন জীবাণু দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন ক্ষত সৃষ্টি হয়ে রোগী আম এবং রক্ত মিশ্রিত মল ত্যাগ করেন। সাধারনত জীবাণু দেহের ভেতরে প্রবেশ করার ১ থেকে ৩ দিনের মাঝেই রোগের উপসর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করে। একসপ্তাহের মাঝেই এটি অধিকাংশ সময়ে নিরাময় হয়ে যায়। আমাশয়ের হাত থেকে বাঁচার প্রধান উপায় আমাদের সকলেরই জানা, তার পরেও আবার মনে করিয়ে দিতে চাইঃ ১। প্রতিবার মল ত্যাগের পরে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করা ২। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করা ৩। না ধুয়ে কোন ফল বা অন্যান্য খাবার না খাওয়া ৪। খাবার খোলা না রাখা ৫। বাসি, পচা কোন খাবার না খাওয়া ৬। আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার প্রস্তুত করতে না দেওয়া

Source:EDoctor Radio