কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণ মানুষের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে যাদের সামাজিক সমর্থন এবং সম্পর্ক আশানুরূপ নয় তাদের আয়ুষ্কাল অন্যদের চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম হয়। কাজ করতে হয় এমন যে কোনো সামাজিক স্তরে এসে যারা অন্য সহকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হন তাদের মৃত্যু আশঙ্কা ১৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর পেছনে মূল কারণ কর্মক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করি। সপ্তাহান্তে আমরা আমাদের বন্ধু বান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গে মিলিত হতে পারি না। অনেক ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বা একেবারেই ভালো সম্পর্ক না থাকায় মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ, সহজ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কর্মউদ্দীপনা, প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দেয়। এ ধরনের আবেগের সমর্থন সহকর্মীদের কাছ থেকেও পাওয়াটা জরুরি। সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক সম্পর্ক বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয়। কর্মউদ্দীপনা হ্রাস পায়। মানসিক উদ্বেগ ও অশান্তি থেকে রক্তচাপ বৃদ্ধি এমনকি হৃদরোগ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বা বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বা মেলামেশার জন্য ক্লাব, কফি হাউস বা রেস্তোরাঁয় যাওয়াটা আবশ্যক। এতে একে অন্যের সঙ্গে মতবিনিময়, ভাব আদান-প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা বাড়ে। সৃষ্টি হয় উদ্দীপনা। হতাশা এবং একঘেয়েমি দূর হয়। এভাবে মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়ে যায়।
সূত্রঃ:দেহ:: জীবনের ঠিকানা।