বিষণ্নতা শুধু মানসিক ও শারিরীক ক্ষতিই করে না বরং এর কারণে মানুষের দেহের কোষগুলোরও বয়স বেড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় অকাল বার্ধক্য। একথাই বলা হয়েছে নেদারল্যান্ডের নতুন এক গবেষণায়।
গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভয়াবহ বিষণ্নতায় ভোগা মানুষদের দেহের কোষগুলো অন্যদের তুলনায় (যারা বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠেছেন) অনেক বেশি বুড়িয়ে গেছে।
বিষণ্ণতার সঙ্গে যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদরোগাক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক আছে তা প্রমাণিত হয়েছে আগের বহু গবেষণায়।
কিন্তু এবার গবেষকরা দেহের কোষের ওপর বিষন্নতার ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি খতিয়ে দেখেছেন।
কোষের টেলোমিয়ার নিয়ে গবেষণা করেন তারা। কোষের বয়স নির্ধারণকারী চিহ্ন হিসেবে ধরা হয় টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্যকে। বয়স্ক মানুষদের কোষে টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্য কম হয়ে থাকে।
বিবিসি জানায়, নেদারল্যান্ডের ভিইউ ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক ও তার মার্কিন সহকর্মীরা ২,৪০৭ জন মানুষকে তিনটি আলাদা দলে ভাগ করে গবেষণা চালান।
প্রথম দলের সদস্যরা অতীতে বিষণ্ণতা দূর করতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।দ্বিতীয় দলের সদস্যরা গবেষণা চলাকালে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেনে এবং তৃতীয় দলে ছিলেন সেইসব মানুষ যারা কখনোই বিষণ্ণতায় ভোগেন নি।
এতে দেখা যায়, যারা বিষণ্নতায় ভুগছিলেন তাদের ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন কিংবা ওজন কমানোর পরও দেহের কোষের টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্যে অন্য দলের মানুষদের তুলনায় কম।
যারা ভয়াবহ বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন, পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের কোষের টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্য অনেক কমে গেছে।
নতুন এ গবেষণার ফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় ‘মলিকুলার ফিজিয়াট্রি’তে।