শীতের সবজিতে ভরে গেছে বাজার। সেখানে গেলে চোখ যায় সবুজ-লাল টমেটোর দিকে। শুধু রূপের জন্য নয়, গুণের জন্যও এই সবজির কদর বেশি। আসুন এই দর্শনধারী টমেটোর গুণ বিচার করা যাক। টমেটোর গুণের আদ্যোপান্ত জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ নুরুন্নাহার নাহিদের কাছে। তিনি বলেন, ‘টমেটোতে আছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিন। এ ছাড়া আছে ফসফরাস, ক্যালসিয়ামসহ আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান। নানা গুণে সমৃদ্ধ এই টমেটো খেতে অনেকেই আতঙ্ক বোধ করেন। কারণ, বাজারের টমেটোতে ফরমালিন থাকার আশঙ্কায়। তাঁরা প্রতিকার পেতে টমেটো কিনে এনে অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তাতে টমেটো ফরমালিন মুক্ত হবে। আর নিশ্চিন্তে টমেটো খেতে পারবেন।’ আরও কী কী গুণ আছে টমেটোতে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ডায়রিয়ার পথ্য
টমেটো ডায়রিয়ার পথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে। ডায়রিয়া রোগের জীবাণুর সঙ্গে লড়ার এক ক্ষমতা আছে টমেটোতে। ডায়রিয়ার সময় টমেটোর জুস বানিয়ে খেলে ডায়রিয়া উপশম হবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। তাদের জন্য টমেটো খুব উপকারী। এটি শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হবে। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেবে টমেটো।
কোলেস্টেরল কমাতে
যাদের রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে, তাদের নিয়মিত টমেটো খেতে হবে। এই সবজি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সালাদ কিংবা রস করে খান টমেটো। রান্না করে নয়
রান্নায় টমেটোর অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে খাওয়া-দাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত টমেটো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এ ক্ষেত্রে সালাদ কিংবা রান্না সব ভাবেই খেতে পারেন টমেটো।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য
যাদের ডায়াবেটিস আছে। তাদের জন্য টমেটো ভালো সবজি। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে টমেটো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ঘা দূর করতে
নানা কারণে মুখে আলসার হতে পারে। এই আলসার দেখতে অনেকটা ঘায়ের মতো। মুখের আলসার সারাতে টমেটো ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
ত্বকের সুরক্ষায়
ত্বক ভালো রাখে টমেটো। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে টমেটো পথ্য হিসেবে খাওয়া যায়। এ ছাড়া টমেটোর রস ত্বকে ব্যবহার করলেও ত্বক ভালো থাকে। বাড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা।
রোগ প্রতিরোধে
সাধারণ রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আছে টমেটোতে। তাই শীতে প্রতিবেলায় টমেটো খান, আর সুস্থ থাকুন।
Source: prothom alo