প্রকৃতিতে চলছে ঋতুর পালাবদল। এই সময়ে ত্বকের চাই বাড়তি আর্দ্রতা। আর সে জন্য দরকার সঠিক ময়েশ্চারাইজার। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী বলেন, ‘শীতের আগমন টের পাওয়া যায় ত্বকের টানটান ভাব থেকে। তাই শীতের শুরু থেকেই ত্বককে পুষ্টি দিতে হবে। গরমের প্রসাধনগুলো বদলে ফেলে বেছে নিতে হবে আবহাওয়া উপযোগী প্রসাধন।’
এ সময়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিয়ে তাঁর কিছু পরামর্শ রইল।
ময়েশ্চারাইজার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফলে ত্বক থাকে সজীব ও টানটান। এ সময়ে আপনার প্রথম কাজটি হবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন।
শীতে শুষ্ক ত্বকের তেল নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য পানি, গ্লিসারিন ও তেলের পরিমাণ বেশি আছে এমন ভারী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিমও দিতে পারেন। এ ছাড়া গ্লিসারিন কিংবা জলপাই তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলমুক্ত খানিকটা পাতলা ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরাও তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য অল্প পরিমাণ তেল আছে, এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
ঘরে বসেও ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ময়েশ্চারাইজার। সে ক্ষেত্রে পাকা কলা কিংবা পাকা পেঁপে ত্বকে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই হলো। এ ছাড়া দুধের সর ও মধু একসঙ্গে মিশিয়েও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একটু নিয়ম মানুন। যতবার মুখ-হাত ধোবেন, ততবার নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
দিনে নয় বরং ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর উপযুক্ত সময় হলো রাত। রাতে ত্বক বিশ্রাম পায় বলেই পরদিন সকালে সজীব দেখায়। দিনের বেলা ময়েশ্চারাইজার লাগালে তাতে ধুলাবালি আটকে যায়।
দিনে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প হিসেবে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে যদি তৈলাক্ত ভাব হয়, তাহলে ভেজা টিস্যু দিয়ে হালকা করে চেপে অতিরিক্ত তেলটা বের করে নেওয়া যায়। কখনোই ত্বকে অযথা ঘষাঘষি করবেন না। অনেক সময় পানিও ত্বককে রুক্ষ করে তোলে। সে ক্ষেত্রে গোসলের আগে ত্বকে জলপাই তেল বা গ্লিসারিন লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে নেওয়া যেতে পারে। অন্য ক্ষেত্রে ত্বক খানিকটা ভেজা থাকা অবস্থায়ও ময়েশ্চারাইজার লাগানো ভালো।
মনে রাখবেন, এই সময়ে ত্বকের পানিশূন্যতায় ত্বকে র্যাশ, বলিরেখাও পড়তে পারে। পাশাপাশি ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাবে। তাই কেবল বাইরের যত্ন করলেই হবে না, এ সময়ে ত্বকের সতেজতায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। খেতে পারেন শীতকালীন রঙিন সবজি আর ফলমূল।
source: prothom alo