যে সব খাবার অফিসে খাওয়ার উপযোগী
নুডলস/পাস্তা/চাওমিনঃ নুডলস খেতে তো কম বেশি সবাই ভালোবাসে। সেটা সকালের নাস্তায়,বিকেলের খাবারে অথবা রাতে যখনই হোক নুডলস খেতে সব সময়েই ভালো লাগে। অফিসে দুপুরের খাবারেও নুডলস খেতে পারেন। খুব অল্প সময়ে সকাল বেলাই রান্না করা যায় এই খাবারটি। এছাড়াও আগের দিন রান্না করে রেখে দিলেও অফিসে নিয়ে যাওয়া যায় নুডলস। নুডলস জাতীয় পাস্তা ও চাওমিনও নিতে পারেন অফিসে। নুডলস, পাস্তা কিংবা চাওমিনকে পুষ্টিকর করে তোলার জন্য সবজি, মাংস, ডিম ইত্যাদি দিয়ে রান্না করুন। তাহলে স্বাদও বাড়বে আবার পুষ্টির অভাবও হবে না।
স্যান্ডউইচঃ অফিসে সহজেই খাওয়া যায় এমন একটি খাবার হলো স্যান্ডউইচ। স্যান্ডউইচ বানানো খুব সোজা। স্যান্ডউইচ মেয়োনেজ দিয়েই বানাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। নিজের স্বাদ ও পছন্দ মতো ডিম, মুরগীর মাংস কিংবা সবজি দিয়েও স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিতে পারেন। সাথে তাজা লেটুস পাতা, শসা, টমেটো ইত্যাদি যোগ করে স্যান্ডউইচকে আরো পুষ্টিকর করে তুলুন।
সাদা ভাতঃ অনেকেই আছেন যারা দুপুরে ভাত না খেয়ে থাকতে পারেন না। আবার কারো কারো দুপুরে ভাতের বদলে অন্য কিছু খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হয়। যারা দুপুরে ভাত ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারেন না তাঁরা অফিসে ভাত খেতে পারেন। ভাতের সঙ্গে সবজি, মুরগী কিংবা মাছ আনতে পারেন। তবে গরুর মাংস না আনাই ভালো কারণ গরুর মাংস গরম করলে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো অফিসে। তাই কম মশলার ও কম গন্ধের তরকারি আনুন।
রুটি সবজিঃ অফিসের জন্য আরেকটি সুবিধাজনক খাবার হলো রুটি সবজি। বানাতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। অফিসের এছাড়াও শুকনো খাবার বলে খেতে খুব বেশি ঝক্কি ঝামেলাও পোহাতে হয় না। তেমন তেল মশলা নেই তাই খাবারের ঘ্রাণে অফিসের সহকর্মিদের ও সমস্যা হয় না।
সালাদঃ সালাদ একটি পুষ্টিকর খাবার। যারা ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন কিংবা সালাদ খেতে ভালোবাসেন তাঁরা অফিসের খাবার হিসেবে সালাদ নিয়ে আসতে পারেন। শসা, গাজর, টমেটো, বিট, ফুলকপি, বাধাকপি, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি যে কোনো ফল কিংবা সবজি দিয়ে বানিয়ে আনুন সালাদ। সঙ্গে প্রোটিন যুক্ত করতে ডিম কিংবা মুরগীর মাংস দিন। সামান্য অলিভ ওয়েলও যোগ করতে পারেন। দুপুরের খাবার হিসেবে এই খাবারটি খেলে পেটও ভরবে আবার পুষ্টিও পাওয়া যাবে।
কিছু সতর্কতা
অফিসে পোলাও কিংবা পোলাওয়ের চালের খিচুড়ি নিয়ে আসা ঠিক না। কারণ পোলাওয়ের চাল ও ঘিয়ের ঘ্রাণে অফিসের সহকর্মীদের সমস্যা হতে পারে।
খুব বেশি মশলাযুক্ত খাবার আনা উচিত নয় কারণ বেশি মশলাযুক্ত খাবার নিয়ে আসলেও অফিসে ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়। তাছাড়া বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
অফিসে শুঁটকি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই খাবারটির ঘ্রাণ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তাই শুঁটকি যুক্ত খাবার আনলে সহকর্মীদের অসুবিধা হতে পারে।
অফিসে খাওয়ার সময় খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাওয়া উচিত না। খাওয়ার সময় টেবিল কিংবা মেঝেতে খাবার পড়লে সেটা নিজেই পরিষ্কার করে ফেলুন।