ধুমপান থেকে বাঁচতে টীকা
ধুমপানে আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার টীকা উদ্ভাবন করেছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। এখন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। এরপরেই ইচ্ছুক লোকেরা ক্ষতিকর নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাদুকর এই টীকা নিজেদের উপর প্রয়োগ করে দেখতে পারে। নির্মাতা কোম্পানী জোর দিয়ে বলছে, যে পাঁচ বছর পরেই ঔষধালয়গুলিতে ঐ ওষুধ কেনা যাবে।
তামাক প্রতিষেধক টীকা উদ্ভাবন করার জন্য প্রথমে প্রাণপাত করেছিলেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কয়েক বছর আগে রাশিয়ার ‘রসন্যানো’ কোম্পানী আমেরিকার ‘Selecta Biosciences’ কোম্পানীর কাছ থেকে পেটেন্টের লাইসেন্স কিনে নেওয়ার পরে গবেষণার কাজ শুরু হয় রাশিয়ায়। এই প্রসঙ্গে ‘রসন্যানো’ কোম্পানীর প্রতিনিধি সের্গেই ফিলিপভ ‘বলছেন –রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালাচ্ছেন। তবে তার মানে এই নয়, যে আগামীকালই ট্যাবলেট খেলেই ধুমপানের প্রতি আসক্তি থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। এখন আমাদের শরীরের ভেতর নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যঙ্গে ওষুধটা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এটা এমন পরিবাহক-রকেট, যার সাথে যে কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ জুড়ে দেওয়া যাবে।
বাজারে সাধারণতঃ পাওয়া যায় নিকোটিনের বিকল্প, যেমন চুইংগাম বা ব্যান্ড-এইড, যেগুলো রোগীকে সাহায্য করে নিকোটিনের ডোজ কমাতে। নতুন ওষুধটির কার্যক্ষমতা একেবারেই অন্য গোত্রের। আমরা রোগীর শরীরের প্রতিষেধক ব্যবস্থাকে অ্যান্টিবডি তৈরী করতে শেখাচ্ছি, যা নিকোটিনকে রক্তে প্রবাহিত হতে বাধা দেবে। এইভাবেই তা আর মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছাবে না, এবং ধুমপান করে বিশেষ পরিতৃপ্তি উপভোগ করাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞের কথায়, চিকিত্সা প্রক্রিয়া ও তার কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিষদে বলা যাবে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হওয়ার পরে. তবে তিনি রহস্যের যবনিকা একটু সরিয়েছেন। ধুমপান বর্জন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ডাক্তার ২-৩টি ইনজেকশন দেবেন। তারপর থেকে সিগারেটের কথা আর মাথাতেই আসবে না। দমিত্রি ওভচিন্নিকভ বলছেন – “আমাদের পেটেন্টভিত্তিক তৈরী ওষুধ হবে পুরোপুরি স্বকীয় ও অতুলনীয়”