জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল— লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনাও বলা হয়। শীতে বিভিন্ন লোশনের পরিবর্তে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক নমনীয় থাকে।
শীতে শিশুদের শরীরে জলপাইয়ের তেল মাখলে দেহের তাপ বাড়বে। ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা কমে আসবে। জলপাইয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো দেহের রোগজীবাণু ধ্বংস করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে।
শীতে সর্দি-কাশি হয়, হাঁপানি রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। এ সময় প্রতিদিন খাবার পর এক চা-চামচ অলিভ অয়েল নিয়মিত খেলে শরীরের উষ্ণতা বাড়বে। জলপাই শিশুদের হাঁড় ও মাংসপেশী মজবুত করে। প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে।
যাদের শরীরে দূষিত কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা রান্নায় অলিভ অয়েল খেতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশে রান্নায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। এই তেলে সয়াবিন তেলের মতো কোনো ক্ষতিকর উপাদান
শীত এলেই বাতাসের আদ্রতা বাড়ে, শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। এটা বেশিরভাগ মানুষের সমস্যা। এ সময় জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল মাখলে ত্বক ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
শীতের আগেই এ ফল পাওয়া যায়। পরিমিত খেলে এটি শীতের সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় করে তুলবে। এছাড়া পুরানো ঘা শুকাতেও জলপাই উপকারি।
জলপাই ক্ষুধাবর্ধক। এছাড়া বাতের ব্যথায় জলপাইয়ের তেল মালিশ করলে উপশম হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও মাথাঘুরা রোগে যারা ভুগছেন তারা জলপাই খেলে উপকার পাবেন। আচার বানিয়ে জলপাই সংরক্ষণ করা যায়।