ঢাকার গুলশান দুই নম্বর থেকে বারিধারার দিকে এগোলে অস্ট্রেলীয় দূতাবাসের ঠিক উল্টো দিকেই রেস্তোরাঁ সল্টজ। বিশাল গাড়িবারান্দার জায়গা নিয়ে এখানটায় অবশ্য দুটো রেস্টুরেন্ট। আপনি যদি সামুদ্রিক খাবারের আসল সমঝদার হন, তাহলে চলে আসুন সল্টজে।
ঢুকতেই মনে হবে রেস্তোরাঁ নয়, এসে পড়েছেন কোনো বোম্বেটে জাহাজে। মাথার ওপরে দুটো নৌকা উল্টো ঝুলে আছে। সেখান থেকে বের হচ্ছে নানান রঙের আলো। ভেতরেও সেই সাজসজ্জা বহাল। সঙ্গে যোগ হয়েছে জাল— হ্যাঁ, মাছ ধরা জাল দিয়ে পুরো অন্দর যেন মোড়ানো। টেবিলের কাচের নিচে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে শামুক ঝিনুক—কত কী!
এর স্বত্বাধিকারী ইফতেখার আহমেদ খান জানালেন, ২০০০ সালে প্রথম গুলশানের ৩৭ নম্বর সড়কে এটি খোলা হয়। বর্তমান জায়গায় তাঁরা চলে আসেন ২০০৩ সালে।
সল্টজ পুরোপুরি সামুদ্রিক খাবারের রেস্তোরাঁ। ২-৩ কেজি ওজনের লবস্টার এখানে প্রতিদিনই পাওয়া যায়। এ ছাড়া রেড স্ন্যাপার, ভেটকি, সুরমা মাছ, কাটল ফিশ, দেশি স্কুইড, রুপচাঁদা, ম্যাকারেল, টুনা, সামুদ্রিক কাঁকড়া ইত্যাদি এখানে পাবেন লোভনীয় স্বাদে। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন এসব মাছ নিয়ে আসা হয় তাদের রসুইঘরে। এ ছাড়া বিদেশি মাছের মধ্যে ট্রাউট, স্যামন, স্ক্যালপস, বড় স্কুইড বা অক্টোপাস পাবেন। মাছ খেতে না চাইলে গ্রিল চিকেন, স্টেক ইত্যাদি চেখে দেখতে পারেন।
খোলা একটা বারান্দা আছে এখানটায়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি। তবে মাঝখানে বেলা তিনটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।