মাঝেমধ্যে শিশুদের, বিশেষ করে যারা ফিডার বা বোতলে দুধ খায়, জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে। কেবল জিভে নয়, ঠোঁট ও গালের ভেতরের দিকেও দইয়ের মতো সাদা প্রলেপ দেখা যেতে পারে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওরাল থ্রাশ নামে পরিচিত। ক্যানডিডা নামের ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর আক্রমণে এটি হয়ে থাকে। শিশুর মুখের এই ক্ষত জোর করে তোলার চেষ্টা করলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে।
ফিডারে বা বোতলে দুধ খাওয়া ছাড়াও যেসব নবজাতক শিশু অকালজাত, স্বল্প ওজনে ভূমিষ্ঠ তাদের মাঝে ক্যানডিডা সংক্রমণের হার বেশি। শিশুকে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মুখের থ্রাশের চিকিৎসা জরুরি। চিকিৎসা নিতে দেরি হলে অনেক সময় এই সংক্রমণ সারা দেহে বা রক্তে ছড়িয়ে যেতে পারে। কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে এক শতাংশ জেনশিয়ান ভায়োলেট ব্যবহার করা যায়। শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো নাইস্ট্যাটিন বা এ ধরনের অ্যান্টি ফাঙ্গাল জাতীয় ওষুধে সুফল মেলে। তবে মায়ের স্তনের বোঁটায় যদি একই ছত্রাক জীবাণুর সংক্রমণ থাকে, তবে তার চিকিৎসা একই সময়ে করতে হবে। নয়তো শিশুর সংক্রমণ ভালো হবে না। l