Maintenance of Old Parents

Author Topic: Maintenance of Old Parents  (Read 1405 times)

Offline Farhana Helal Mehtab

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 248
  • Test
    • View Profile
Maintenance of Old Parents
« on: December 23, 2013, 11:43:08 AM »
According to family laws, husband is responsible for maintenance. When he becomes father, he becomes responsible for maintenance of children too. But when this father will be aged/ an old person then who will take his responsibility?! This is a question of conscious. But what do the law say? We had not any law regarding this matter but this year, in 2013, we have got a law regarding the maintenance of old parents.   M.d. Monir, Research Officer, Bangladesh Institute of Law and International Affairs (BILIA), has send me his write up on this issue. 

My heartfelt thanks to Monir, for adding a line for me … he wrote that his article is dedicated to me.  Feeling blessed to have such young law researchers as my dear & near people.

Maintenance of Old Parents
[/size]


সন্তান ভরণপোষণ না দিলে...
পারিবারিক আইনে স্ত্রী এবং সন্তানের ভরণপোষণের বিধান রয়েছে। সাধারণত স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর এবং সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব বাবার ওপর ন্যস্ত হয়। আবার অনেক সময় স্ত্রী তার বিয়েবিচ্ছেদের পরও স্বামীর কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন। কিন্তু বাবা-মা যখন বার্ধক্যে উপনীত হন, তখন তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব কার? বাংলাদেশে এতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আইন ছিল না। নৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকে সন্তানরা বিশেষত ছেলে সন্তানরা এই দায়িত্ব পালন করতেন। বর্তমান আইনে এই দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য সাজার বিধানও রাখা হয়েছে।

  সব পিতা-মাতাই সন্তানের মঙ্গল চান। সাধারণত কোনো পিতা-মাতাই সন্তানের বিরুদ্ধে যান না। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে কোনো সন্তান পিতা-মাতাকে বাধ্য করে বৃদ্ধাশ্রম বা অন্য কোথাও বসবাস করতে, অথবা কোনো সন্তান যদি যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণে পিতা-মাতার ভরণপোষণ না করেন, তাহলে কি কোনো প্রতিকার নেই? অবশ্যই আছে। এ ক্ষেত্রে তারা ভরণপোষণের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের অধিকার আদায় করতে পারেন। সম্প্রতি আমাদের দেশে এ বিষয়ে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করেছে জাতীয় সংসদ। 'পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩' নামের এ আইনটি ইতোমধ্যে কার্যকরও হয়ে গেছে। গত ১ জুলাই চীনে এরকম একটি আইন পাস হয়। 'এলডারলি রাইটস ল' বা প্রবীণ অধিকার আইন নামের সেই আইনটির মূলকথা, সন্তানদের অবশ্যই বৃদ্ধ বাবা-মার দেখাশোনা করতে হবে। ৭৭ বছরের বৃদ্ধ যে মা ৪০ কিলোমিটার বা ২৫ মাইল দূরে থাকেন, তাকে বন্ধের দিনগুলো ছাড়াও দুই মাসে অন্তত একবার দেখতে যেতে হবে। এভাবে আইন করে আসলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের অধিকার কতটুকু সংরক্ষণ করা যাবে বলা মুশকিল। তারপরও জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিও আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে সেদিক থেকে এই আইনের তাৎপর্য অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের আইনটি সম্পর্কে জানা যাক।

পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন কী?
পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন একটি জনকল্যাণকর আইন। বাংলায় প্রণীত এ আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যেহেতু সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় সেহেতু আইনটি প্রণয়ন করা হলো। অর্থাৎ কোনো সন্তান যদি কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণে পিতা-মাতার ভরণপোষণ না করে তাহলে তারা ভরণপোষণের জন্য এ আইনের অধীনে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করতে পারবেন।

কে কাকে ভরণপোষণ করবে?
আইনে ভরণপোষণ প্রদানে সন্তান বলতে শুধু পুত্রকেই বোঝায়নি বরং কন্যাকেও বুঝিয়েছে। অর্থাৎ পিতা-মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব শুধু ছেলের একার নয় বরং মেয়েকেও নিতে হবে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনা হয়েছে। আর ভরণপোষণ শুধু কোনো বিশেষ সন্তান নেবে তা নয় বরং সবাইকে নিতে হবে। তবে একাধিক সন্তান থাকলে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তাদের পিতা-মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে। কোনো সন্তান পিতা-মাতাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধাশ্রম বা অন্য কোথাও একত্রে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না। প্রত্যেক সন্তানকেই তাদের পিতা-মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হবে। পিতা-মাতা একত্রে বা আলাদা বসবাস করলে প্রত্যেক সন্তানকে সাধ্যমতো তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে।

কী পরিমাণ ভরণপোষণ দিতে হবে?
পিতা-মাতা যদি সন্তানের সঙ্গে বসবাস না করেন তবে তাদের প্রত্যেক সন্তান নিজ নিজ উপার্জন থেকে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

পিতা-মাতা ছাড়া আর কাকে ভরণপোষণ দিতে হবে?
আইনটি শুধু পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি। পিতা-মাতার অবর্তমানে দাদা-দাদি ও নানা-নানির ভরণপোষণ বিষয়েও জোর দিয়েছে। পিতার অবর্তমানে দাদা-দাদিকে এবং মাতার অবর্তমানে নানা-নানিকে পিতা-মাতার মতো ভরণপোষণ দিতে হবে।

অপরাধের শাস্তি কী?
আইনটি সন্তানদের বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি অপরাধ, দ- ও বিচারব্যবস্থা কেমন হবে সে বিষয়েও বিধান দিয়েছে। যেমন_ কেউ যদি এই বিধানাবলি লঙ্ঘন করে তবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদ- হতে পারে। অনাদায়ে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদ- প্রদান করতে পারে আদালত। এছাড়া কোনো সন্তানের স্ত্রী বা স্বামী কিংবা পুত্র-কন্যা বা অন্য কোনো নিকটাত্মীয় যদি পিতা-মাতা বা দাদা-দাদি বা নানা-নানির ভরণপোষণ প্রদানে বাধা দেয় বা অসহযোগিতা করে তবে তার সাজাও উপরোলি্লখিত দ-ের মতোই হবে।

অপরাধের ধরন কী?

আইনে কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই তা আমলযোগ্য। এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলায় জামিনও পাওয়া যেতে পারে। মামলায় আপস-মীমাংসারও সুযোগ রয়েছে।

অভিযোগ কোথায় করতে হবে?
অপরাধের অভিযোগ দায়ের ও বিচার হবে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। তবে অপরাধের লিখিত অভিযোগ পিতা-মাতাকেই দায়ের করতে হবে। অন্যথায় আদালত তা গ্রহণ করবেন না। পিতা-মাতার অবর্তমানে কে লিখিত অভিযোগ করার অধিকারী সে বিষয়ে আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়নি।

বিকল্প সমাধান আছে কি?
হ্যাঁ। আদালত সংশ্লিষ্ট অভিযোগের আপস নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার বা কাউন্সিলর কিংবা অন্য কোনো উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকে শুনানির সুযোগ দিয়ে তবেই নিষ্পত্তি করতে হবে এবং তখনই তা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি হয়েছে বলে গণ্য হবে।

এ আইনে কোনো মামলা কি এর মধ্যে হয়েছে?
ইতোমধ্যে ভরণপোষণ না দেয়ার অভিযোগ জানিয়ে চাঁদপুরের ছেলে ইয়াছিন রানার (৩০) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার পিতা মো. লিয়াকত আলী (৬০)। আইন পাস হওয়ার পর এটিই প্রথম মামলা।
সব শেষ কথা, আইনের পাশাপাশি সন্তানের মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে। আর এ কাজটি পিতা-মাতাকেই নিতে হবে। আর সন্তানকেও তাদের ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা ভাবতে হবে এবং পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতে পরিবার ও সমাজ তথা দেশ সুন্দর হবে।
লেখক: গবেষণা কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ল' অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া)

« Last Edit: December 23, 2013, 01:16:25 PM by Farhana Helal Mehtab »