Few important event in sports in 2013

Author Topic: Few important event in sports in 2013  (Read 1165 times)

Offline maruppharm

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1227
  • Test
    • View Profile
Few important event in sports in 2013
« on: December 31, 2013, 01:57:16 PM »
সময়ের ডানায় ভর করে চলে আমরা এসেছি ২০১৩ সালের শেষ পর্যায়ে। আজই মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাবে আরেকটি বছর। শুরু হয়ে গেছে সালতামামি। কেমন গেল ক্রীড়াঙ্গনের ২০১৩? তবে শুধু মাঠের খেলায় নয়, খেলার বাইরেও ঘটেছে বেশ কিছু আলোচিত ও ব্যতিক্রম ঘটনা। সেদিকেই চোখ ফেরানো যাক:

অস্কার পিস্টোরিয়াসের কলঙ্ক
অস্কার পিস্টোরিয়াস। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ব্লেড রানার’-এর কাছ থেকে কত মানুষ প্রেরণা খুঁজে পেয়েছে, তার ইয়ত্তা আছে! শারীরিক সীমাবদ্ধতা ফুঁত্কারে উড়িয়ে গোটা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই কিনা উঠল খুনের অভিযোগ!

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডেতে বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে গুলি করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন। ওই দিনই পিস্টোরিয়াসকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন আদালতে ঠুকে দেওয়া হয় হত্যা মামলা। সেই থেকে পুলিশ-আদালত করেই কাটে সময়। ট্র্যাক নয়; বছরজুড়েই এ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এখন একাকিত্ব, অনুশোচনার আগুনে পুড়ে হাঁপিয়ে ওঠা মনটা ভালো করার পথ খুঁজছেন।

রাফার ওপর খ্যাপা চেলসি সমর্থকরা!‘বেরিয়ে যাও রাফা!’
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এফএ কাপের মিডলসবরোর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় চেলসি। ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। তবুও গ্যালারি থেকে ভেসে আসে দুয়োধ্বনি। প্ল্যাকার্ড নিয়ে তখনকার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রাফায়েল বেনিতেজের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন দর্শকেরা। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘বেরিয়ে যাও রাফা’! কিংবা ‘রাফায়েল বেনিতেজ চেলসির সমর্থকেরা ভুলবে না!’ বোঝাই যাচ্ছে, সমর্থকেরা কতটা খ্যাপা ছিল কোচের ওপর।

দলকে জিতিয়েও দর্শক-সমর্থকদের মন না পাওয়ায় ভীষণ কষ্ট পান রাফা। এ যে ঘাঁয়ের ওপর সুচের খোঁচা! তাই ম্যাচ-পরবর্তী সম্মেলনে ব্যথাতুর মনে বলেন, ‘এই চেলসির সমর্থকদের একটা এজেন্ডা রয়েছে। এরা ক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা ব্যানার উঁচিয়ে গান গেয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে। তাদের নিয়ে আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। মৌসুম শেষে আমি এমনিতেই এখান থেকে চলে যাব।’
নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে, রাফার বিরুদ্ধে কেন গ্যালারিতে দুয়ো দিয়েছিলেন সমর্থকেরা। তবে দর্শকদের চাওয়া শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছিল। মৌসুম শেষে চেলসি ছেড়েছিলেন বেনিতেজ।
সুয়ারেজের সেই কামড়!সুয়ারেজের কামড়!
লুইস সুয়ারেজ যেন এক মূর্তিমান প্রহেলিকা।মুহূর্তের জাদুতে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা বরাবরই ছিল। কিন্তু হুট করেই ব্যাখ্যাতীত কোনো কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলায় কি কম যন্ত্রণা সইতে হয়েছে অল রেডদের!

২১ এপ্রিল ঘটালেন এক অভব্য ঘটনা। চেলসির ইভানোভিচকে আচমকা কামড়ে বসলেন! কেন ওভাবে কামড়েছিলেন লিভারপুল স্ট্রাইকার, সে রহস্যও পরে উন্মোচন করছেন নিজেই। না, ইভানোভিচ কোনো উসকানি দেননি, কোনো পূর্বশত্রুতাও ছিল না তাঁদের মধ্যে। তাহলে কেন অমন করলেন?

সুয়ারেজ জানান, কারণ আর কিছুই নয়, হঠাত্ই মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া! ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সুয়ারেজের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পেয়েছিল চেলসি। সে কারণে মেজাজ খিঁচড়ে গিয়েছিল তাঁর। যার রেশ ধরে পেনাল্টি বক্সে ইভানোভিচের সঙ্গে বল দখলের লড়াই করতে করতে হঠাত্ই কামড়ে ধরেন তাঁর বাহুতে। এর জন্য ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
ওভালে মৌজ-মস্তিতে ব্যস্ত ইংলিশ ক্রিকেটারা। এরপরেই ঘটে সেই মূত্রকাণ্ড!সদলবলে মূত্রবিসর্জন!
আবেগের তোড়ে মানুষ অনেক কিছুই করে ফেলে। সে হোক জয় কিংবা পরাজয়। গত আগস্টে জয়ের আনন্দে এমনই এক কাণ্ড করেছিলেন ঘরের মাটিতে অ্যাশেজজয়ী ইংলিশ ক্রিকেটাররা। তাও আবার রীতিমতো দলবেঁধে মূত্রবিসর্জন! এ অপকর্মটি করে এক্কেবারে ওভালের মাঠেই!

এ মূত্রকাণ্ডের খবরটি দিয়েছিল সিডনি মরনিং হেরাল্ড। টানা তিনবার অ্যাশেজ জেতার পর মাঠে বসেই বিয়ার খেয়ে ফুর্তিতে মেতেছিল অ্যালিস্টার কুকের দল। ম্যাট প্রায়র সেটার একটি ছবি টুইটারে পোস্টও করেন। কিন্তু এর খানিক পর নাকি রাতের আঁধারে মাঠে মূত্রত্যাগ করেছেন কেভিন পিটারসেন, জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা। ওই সময় ওভালের আকাশ-বাতাস তো বটেই; গ্রাউন্ডসম্যানসহ অন্যরাও সাক্ষী ছিলেন এই ‘সমবেত জলবিয়োগের’!

ডোপ পাপে কলঙ্কিত আর্মস্ট্রং স্বীকার করলেন দোষআর্মস্ট্রং ট্র্যাজেডি
ছিলেন প্রেরণার এক মূর্ত প্রতীক। তাঁর জীবনের গল্প থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন বহুজন! ক্যানসার নামের মরণব্যাধিকে জয় করে ফিরে এসেছেন। সাইক্লিংয়ের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এখন যখন জানা গেল সাইক্লিংয়ে তাঁর যাবতীয় অর্জন ডোপ পাপে কলঙ্কিত। আর্মস্ট্রংয়ের এ তঞ্চকতা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ১৯৯৯ থেকে ২০০৫—টানা সাত বছর ট্যুর ডি ফ্রান্সজয়ী সাইক্লিস্ট নিক্ষিপ্ত হয়েছেন ঘৃণার আস্তাকুঁড়ে।

আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর সবগুলো ট্যুর ডি ফ্রান্সের শিরোপা। তবে আর্মস্ট্রং পরে বলেছেন, ডোপিং কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে নাকি তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন সাবেক আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ইউনিয়নের (ইউসিআই) সভাপতি হাইন ফেব্রুখেন। ফেব্রুখেন অবশ্য অভিযোগটা উড়িয়ে দেন। আর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি) শুধু আর্মস্ট্রংয়ের মুখের কথার ওপর ভিত্তি করে কাউকে অভিযুক্ত করতে রাজি নয়।
জনসমক্ষে বমি উগরে দিলেন লুইস টমলিনসনমাঠেই বমি!
সেপ্টেম্বরে সেল্টিক পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল আদতে একটি চ্যারিটি ম্যাচ। এটি আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল লিউকিমিয়ায় আক্রান্ত অ্যাস্টন ভিলার খেলোয়াড় পেত্রোভকে সহযোগিতা করা। অ্যাস্টন ভিলা বনাম পেত্রোভ একাদশের এ ম্যাচে সে অর্থে কোনো তারকা ফুটবলার ছিলেন না। তবুও ম্যাচটি আলোচনার পাদপ্রদীপে এসেছে ভিন্ন কারণে।

ম্যাচের একপর্যায়ে অ্যাস্টন ভিলার স্ট্রাইকার গ্যাবি অ্যাগবোনলাহোর পেত্রোভ একাদশের লুইস টমলিনসনকে বাজেভাবে ট্যাকল করে বসেন। এ আর এমন কি! ফুটবলে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। কিন্তু ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে, যখন যন্ত্রণায় কাতর টমলিনসন মাঠেই ভক করে বমি করে ফেলেন। পেটের গোলমাল নাকি গ্যাবির ‘মার’—কোন কারণে টমলিনসন এভাবে জনসমক্ষে বমি উগরে দিলেন, ঠিক জানা যায়নি।

তবে এর জের ভালোই পোহাতে হয় গ্যাবিকে। এমনকি ক্ষমা চেয়েও তাঁর নিস্তার মেলেনি। তাঁকে এর জন্য ‘মৃত্যুহুমকি’ পেতে হয়! কেন জানেন? কেননা টমলিনসন কেবল ফুটবলার নন; একই সঙ্গে জনপ্রিয় ইংলিশ-আইরিশ ব্যান্ড ‘ওয়ান ডিরেকশন’-এর সদস্য। ফলে প্রিয় তারকার এমন করুণ দশা মেনে নিতে পারেননি তাঁর ভক্ত-সমর্থকেরা। তাই অ্যাস্টন ভিলার স্ট্রাইকারকে ‘জানে মেরে’ ফেলার হুমকি দেন টমলিনসনের ভক্তরা!
Md Al Faruk
Assistant Professor, Pharmacy