বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি মেয়র নির্বাচন, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন স্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হল রাষ্ট্রপতি ও সংসদে নির্বাচন পরিচালনা, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ, আইন কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা (এর মধ্যে সকল স্থানীয় সরকার পরিষদ যেমনঃ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ অর্ন্তভুক্ত) এবং আনুষঙ্গিক কার্যাদির সুষ্ঠু সম্পাদন। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল এ সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বর্তশানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। এছাড়া চার কমিশনার পদে আছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু হাফিজ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ মো. শাহনেওয়াজ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নাম
ক্রমিক নাম
০১ বিচারপতি মোঃ ইদ্রিস
০২ বিচারপতি এ.কে.এম. নুরুল ইসলাম
০৩ বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মাসুদ
০৪ বিচারপতি সুলতান হোসেন খান
০৫ বিচারপতি মোঃ আব্দুর রউফ
০৬ বিচারপতি এ.কে.এম সাদেক
০৭ মোহাম্মদ আবু হেনা
০৮ এম এ সাইদ
০৯ এম.এ. আজিজ
১০ ডঃ এ,টি,এম শামসুল হুদা
১১ কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরে-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত। ৬টি বিভাগীয় সদর ও আরো ৩টি জেলায় মোট ৯জন উপ-নির্বাচন কমিশনার থাকেন। এছাড়া ৬৪টি জেলা সদরে মোট ৮৩টি জেলা নির্বাচন কার্য্যালয় রয়েছে। এর প্রতিটি’র নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
এশিয়া ফাউন্ডেশন,নোরাড ও বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট জানুয়ারী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।