রানা প্লাজা ধস, যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি স্থগিত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত বছরটি দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুঃস্বপ্নের মতো গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতীয় রুপির বড় দরপতন।
তাই ভারতকে বড় রকমের হুমকি হিসেবেই চিহ্নিত করেন বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। বাংলাদেশের থেকে পোশাকের অনেক ক্রয়াদেশ ভারতে চলে যাচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
অবশ্য পরিসংখ্যান এই আশঙ্কা এখনো সমর্থন করছে না। কেননা, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আর একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৯০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশের ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রিমিয়ার এক্সপোর্ট ফাইনান্স এজেন্সির তথ্য-বিশ্লেষণ উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে ভারতের দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের রপ্তানি প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০০৫ সালে ৬৮০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় ২০১২ সালে গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে পোশাকশিল্পের বার্ষিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৮৭০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয় এক হাজার ৩৮০ কোটি ডলার।
পত্রিকাটিকে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রাহালাথন আইয়ার বলেন, হালনাগাদ পরিসংখ্যান না থাকায় আমেরিকার আমদানির চিত্রটিকে একটি মানদণ্ড হিসেবে গণ্য করা যায়। আর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বেশ জোরেশোরে উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নীতি-সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভবনধস ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমেরিকায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমে অক্টোবরে ৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। তবে পরের মাসেই (নভেম্বর) ৪১ শতাংশ হারে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।