রসুন:
শুরুতেই বলা যাক রসুনের কথা। রসুন একটি অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান যা একইসাথে রক্ত-পরিষ্কারক ও অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। ৩ কোয়া রসুন নিন, এগুলোকে মিহি কুচি করুন এবং এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে পান করুন। এটি দেহ থেকে টক্সিনকে বিদেয় করে আপনার রক্তকে বিশুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে। একই সাথে এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা সঠিক পরিপাকে সহায়ক। আর পরিপাক যত সঠিক হবে দেহে টক্সিনের মাত্রাও ততই কমে কারণ সঠিক পরিপাকের ফলে টক্সিন উৎপন্ন হবার সম্ভাবনা থাকেনা।
লেবু:
এক গ্লাস কুসুমগরম পানিতে লেবু চিপে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন দিনের একদম শুরুতে। এটি আপনার রক্তে তথা পুরো শরীরেই পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয় এই মিশ্রণটি আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে দেবে সহজেই। দূর করবে ক্ষুধামন্দার মত সমস্যাকে।
সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল:
সবুজ শাকসবজি মানেই তাতে আছে ক্লোরোফিল। এই ক্লোরোফিল রক্তের ক্ষতিকর জীবাণুকে দূর করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন সবজি ও ফল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে যা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া শাকসবজি ও ফলমূলে বিদ্যমান ভিটামিনসমূহ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে অনেকখানি।
গোলমরিচ:
সালাদের সাথে বা বিভিন্ন খাবারে একটুখানি গোলমরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে নিয়ে আমরা প্রায়ই খাবারের স্বাদ বর্ধনের চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু শুধু স্বাদ নয়, এই গোলমরিচের গুণ অনেক। গোলমরিচের গুঁড়ো হজমে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা খাবারের সঠিক পরিপাকের জন্য আবশ্যক। এভাবে সঠিক পরিপাককে নিশ্চিত করে এটি খুব সহজে রক্তকে বিশুদ্ধ রাখে। তবে মশলাদার খাবারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা থাকলে বা ঝাল খাওয়া বারণ হলে এটি অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।
ডালিমের খোসার গুঁড়ো:
পড়তে গিয়ে নিশ্চয় একবার হোঁচট খেয়েছেন? কিন্তু কথাটা সত্যি। ডালিমের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত গুঁড়ো করুন যতক্ষণ না এটি একেবারে মিহি পাউডারে পরিণত হয়। এবার প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা-চামচ এই গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন নিয়মিত। এটি আপনার রক্তকে পরিষ্কার করবে, একই সঙ্গে আপনাকে কৃমি থেকেও মুক্ত রাখবে।