রিবন্ডিং করার পরে চুলের যত্ন

Author Topic: রিবন্ডিং করার পরে চুলের যত্ন  (Read 1863 times)

Offline sabrina

  • Faculty
  • Jr. Member
  • *
  • Posts: 92
    • View Profile
সব ধরনের চুলেরই রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। অনেকে কোঁকড়া চুলকে ঝামেলা মনে করে রিবন্ডিং করেন। চুল রিবন্ডিং করলে অন্তত ৬ মাস বা এক বছর চুল সোজা থাকে। স্ট্রেইটচুলের সুবিধা হলো খুব সামান্যতেই গোছানো লাগে দেখতে। কিন্তু চুল রিবন্ডিং করার পর যদি আপনি মনে করেন চুল রিবন্ডিং করে ফেলেছি আর যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই তাহলে আপনি অনেক বড় ভুল করছেন। কারণ রিবন্ডিং করার পর চুলের যত্ন ঠিকভাবে না নিলে চুলের ক্ষতি অনেক বেশি হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন রিবন্ডিং করার পর চুল ঙেভে যাচ্ছে, রুক্ষ হয়ে পড়ে যাচ্ছে। আসলে এটা হচ্ছে চুলের সঠিক যত্ন না নেওয়ায় জন্য।

    হেয়ার ট্রিটমেন্ট: চুল রিবন্ডিং করার তিন দিন পর অবশ্যই একটা হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। এরপর প্রতি মাসে একটা করে ট্রিটমেন্ট নিন। রিবন্ডিং চুলের জন্য অ্যারোমা ট্রিটমেন্ট আদর্শ। এতে চুল পড়া বা চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

    তেল দেওয়া: চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২ দিন তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করুন। চুল ভেঙে গেলে সপ্তাহে একবার হট অয়েল ম্যাসাজ করুন।

    চুল আঁচড়ানো: দিনে অন্তত ৩ বার চুল আঁচড়ে নিন, এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুল আঁচড়ানোর সময় মোটা দাঁতের চিরুনী ব্যবহার করুন।

    চুল বাঁধা থেকে বিরত থাকা: রিবন্ডিং করার পর কমপক্ষে প্রথম একমাস চুল বাঁধা উচিৎ না। এতে চুল ভেঙে যায়। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারেও চুলের ক্ষতি হয়।

    স্টিম নেওয়া: গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। চুলের রুক্ষ ভাব কমবে।

    শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার: চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মসৃণ করতে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার অথবা এক চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। রিবন্ডিং চুলের জন্য আলাদা শ্যাম্পু কন্ডিশনার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করুন।

    প্যাক লাগানো: চুলের আগা ফেটে গেলে আগা কেটে ফেলার পর চুলে প্রোটিন প্যাক, ডিপ কন্ডিশনিং কিংবা হেয়ার স্পা করতে পারেন। খুশকির সমস্যা বাড়লে মাথার স্ক্যাল্পে লেবু বা পেঁয়াজের রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

    পুষ্টিকর খাবার: নিয়মিত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ চুলের যেকোন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। বেশি করে ফল ও সবজি আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, পাকা টমেটো, আমলকী, কিউই, পালং শাক, এলোভেরা, শসা খাওয়া উচিৎ এবং যথাসম্ভব জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

Sabrina Akhter
Senior Lecturer
Dept. Business Administration

Offline fatema nusrat chowdhury

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 313
    • View Profile
Informative sharing. Thank you :)