ভূঁয়া প্রোফাইল : দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য নিজের নামের বদলে কোন সেলিব্রিটি অথবা অন্য কারও নাম ব্যবহার করেন অনেকে। প্রোফাইলের প্রায় তথ্যই ভূঁয়া থাকে। ফেইসবুক কর্তিপক্ষ এ ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এসব একাউন্ট বন্ধ করে দেয়।
বন্ধুত্বের জন্য অধিক রিকোয়েস্ট পাঠালে : ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত বন্ধু রিকোয়েস্ট পাঠানো। প্রতিদিন ২০টির বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। রিকোয়েস্ট পাঠানোর সংখ্যা যতো কম হয় ততই ভালো।
বন্ধু রিকোয়েস্ট গ্রহণ না হলে : আপনি অধিক পরিমান ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন অর্থাৎ যাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন তারা আপনার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহন করছে না, এই রিকোয়েস্টের পরিমান যখন ৫০ এর অধিক হয়ে যায় তখননি ফেইসবুক আপনাকে ভেরিফিকেশন করতে বলবে। পরে এক সময় ব্লক করে দিতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
পর্ণগ্রাফি আপলোড করা : ফেসবুক প্রোফাইল বা অন্য কোথাও আপনি যদি এই ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করেন, তাহলে ফেইসবুক আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করবে কোন এবিউজ রিপোর্ট অথবা নোটিশ ছাড়াই।
ভাষার অপব্যবহার : স্ট্যাটাস আপডেট অথবা ম্যাসেজ আদান-প্রদান এর সময় ভাষার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বাজে ভাষা ব্যবহার করলে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কেউ আপনার নামে রিপোর্ট করতে পারে এবং ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
স্প্যামিং করা : আপনার পণ্য বা ওয়েব সাইট প্রমোট করার জন্য ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এটি করা যেতে পারে যেটি স্প্যামিং এর পর্যায়ে পরে না। শুধু ফেসবুক না, পুরা ইন্টারনেট জগত এটিকে ঘৃণা করে। ফেইসবুক এটি গুরুত্বের সাথে দেখে।
অতিরিক্ত ম্যাসেজ : আপনি যদি বন্ধুদের ওয়াল অথবা ইনবক্সে প্রতিদিন অনেক বেশি ম্যাসেজ পোস্ট করেন, তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর একই ম্যাসেজ বার বার দিতে চাইলে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন করে দিন। নাহলে ফেসবুক এটিকে স্প্যাম হিসেবে ধরবে।
কাউকে হুমকি দেয়া : ভুলেও কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন না। এমনকি মজা করেও না। ফেসবুক এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নেয় এবং অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়।