কলাও শুধু পুষ্টির যোগানই দেয় না, এ ফল ব্যবহারিক কাজেও দেয় চমৎকার সব ফলাফল। ‘সকল কাজের কাজি’ এই কলা
কলার ছোলা (খোসা) দিয়ে চামড়ার জুতা ও কাপড় পরিস্কার করতে পারেন অনায়াসে। কলার ছোলা দিয়ে ব্যবহার্য চামড়ার জিনিস পরিস্কার করলে তা অধিক টেকসই হয় ও তার বাহ্যিক মসৃণতাও বাড়ে।
কলার ছোলা দিয়ে অন্যকোনো কাঁচা ফলকেও পাঁকাতে পারেন। আপনি কাঁচা কোনো ফলের সাথে কলার ছোলা রাখুন। দেখবেন দ্রুতই কাঁচা সেই ফলগুলো পেকে যাচ্ছে।
অনেকেই বাসায় অর্কিড চাষ করেন। বেশ সুন্দর একটি অর্কিড দেখাতে চাইলে কলার ছোলা ব্যবহার করতে পারেন। কলার ছোলা অর্কিডের টবের মাটির নিচে রাখুন। কেননা কলার ছোলায় রয়েছে সমৃদ্ধ ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ও অ্যামিনো অ্যাসিডসহ বিভিন্ন পুষ্টি, যা অকির্ডের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।
আপনার মুখমণ্ডল যদি সর্বক্ষণ শুকনো আর খসখসে থাকে, তাহলে কলার ছোলার ভিতরে অংশদিয়ে আপনার মুখের ওপর আস্তর দিয়ে রাখুন। এরপর মিনিট দশেক পর পানি দিয়ে পরিস্কার করুন। দেখবেন আপানার মুখ কোমল ও মসৃণ হয়েছে।
কলার ছোলা দিয়ে চামড়ার ফোঁড়া পাঁচড়া দূর করা যায়। মুখ মণ্ডল ও চামড়ায় যেখানে ফোঁড়া বা পাঁচড়া হয়েছে, সেখানে কলার ছোলা ব্যবহার করুন। কেননা কলার ছোলা মধ্যে রয়েছে একধরণের উপাদান, যা ভাইরাস প্রতিরোধ করে।
মুখে আলসার হলেও কলার ছোলা ব্যবহার করা যায়। কলার ছোলা ও পলিগোনাম একসাথে পানিতে মিশিয়ে সিদ্ধ করুন। তারপর এই পানি পান করলে আলসারের নির্মূল করা যায়।
অর্শ্বরোগ ও মলের সাথে রক্ত গেলে চামড়াসহ দুটি কলা আগুণে পুড়ে বা কাবাব করে খেয়ে নিন, আপনার অর্শ্বরোগ ও মলে রক্ত যাওয়া অবস্থা ক্রমেই উন্নত হবে।
আপনার গায়ের চামড়া কি রুক্ষ, শুষ্ক আর ফেঁটে যায়? তাহলে নিয়মিত কলার ছোলার ভিতরের পাশ দিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঘষে নিন।
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম কলার ছোলা সিদ্ধ পানি পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সম্ভব, একই সাথে এই পানি পানে রক্ত সঞ্চলন সহজ হয়ে ওঠে ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
আপনার কি দাঁতে ব্যথা? তাহলে কলার ছোলা ভাল করে পরিস্কার করে চিনির সাথে মিশিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন। তারপর প্রতিদিন দুবার করে এ পানি দিয়ে পান করুন।