সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্ব আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। অনেকে হয়তো তর্ক করতে পারেন কার অবদান কতো তাই নিয়ে। কিন্তু সকল তর্কের উর্ধ্বে থেকে নারী তার অবদান রেখে যাচ্ছে নিভৃতে থেকেই। এর মধ্যে আমরা অনেকেরই নাম জানি, আবার অনেককেই চিনি না।
sappho
সাপ্পোহ – (খ্রীষ্টপূর্ব ৫৭০ অব্দ)
পৃথিবীর ইতিহাসে জানামতে প্রথম নারী কবি। তার বেশিরভাগ কবিতাই হারিয়ে গেলেও তার খ্যাতি এখনো অনেক বেশি। দার্শনিক প্লেটো তাকে সাপ্পোহকে পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা ১০ জন কবির মধ্যে স্থান দিয়েছে
২.
elizabeth
রাণী প্রথম এলিজাবেথ – (১৫৩৩-১৬০৩ খ্রীষ্টাব্দ)
বৃটেনের রাণী হিসাবে আমরা তাকে সবাই চিনি। তার শাসনামলে ইংল্যান্ডে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপ্লব সূচিত হয়। তার চৌকস নেতৃত্বেই বৃটেন পৃথিবীর ইতিহাসের এক পরাশক্তিতে পরিণত হয়।
florence-nightingale
ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল (১৮২০-১৯১০ খ্রীষ্টাব্দ)
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈনিকদের সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তার খ্যাতি কাউকে আর মনে করিয়ে দিতে হবে না। তিনি নার্সিং পেশাকে অন্যরকম মর্যাদার স্থানে নিয়ে গেছেন। তার দৃষ্টন্তের কারণে যুদ্ধাহত সৈনিকদের সেবার বিষয়টিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বের পর্যায়ে পৌছে গেছে।
৪.
marie-curie
মেরী কুরি (১৮৬৭-১৯৩৪ খ্রীষ্টাব্দ)
তিনি বিশ্বের প্রথম নারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং প্রথম ব্যাক্তি যিনি দুটি ক্যাটাগরিতে জিতেছেন। তার প্রথম পুরস্কারটি ছিল পদার্থ বিজ্ঞানে (১৯০৩ সালে) তেজস্ক্রিয়তার উপর এবং দ্বিতীয়টি ছিল রসায়নে(১৯১১ সাল)। এর কয়েক বছর পর তিনি এক্স-রে যন্ত্র আবিষ্কারেও ভূমিকা রাখেন।
৫.
helen-rubinstein
হেলেনা রুবিনস্টেইন (১৮৭০-১৯৬৫ খ্রীষ্টাব্দ)
বিশ্বের প্রথম কসমেটিক্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেলেনা রুবিনস্টেইন ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য লাভ করেন। তিনি পরবর্তী জীবনে শিক্ষা, শিল্পকলা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে সমস্ত সম্পদ ব্যয় করেন।
৬.
Coco-Chanel
কোকো চেনাল (১৮৮৩-১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দ)
বিংশ শতকের অন্যতম সেরা ফ্যাশন ডিজাইনার, যিনি মেয়েদের আধুনিক ফ্যাশনের সূচনা করেছেন। তার চিন্তাধারা ছিল যুগান্তকারী। ছেলেদের পোষাকের সাথে মেয়েদের পোষাকের যে ফিউশন, তা কোকো চেনালরেই সৃষ্টি।
৭.
mother-teresa
মাদার তেরেসা (১৯১০-১৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দ)
মাদার তেরেসাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আর কিছু নেই। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য তার সারাজীবনের আত্মত্যাগ তাকে পৃথিবীর ইতিহাসে মহান করেছে। চ্যারিটি সংগঠনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে আর্ত্মমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে তিনি ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
৮.
dorothy-hodgkin
ড্রথি হড্জকিন (১৯১০-১৯৯৪ খ্রীষ্টাব্দ)
পেনিসিল এবং ইনসুলিনের গঠন আবিষ্কার করে রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তার এই আবিষ্কার মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে আসে।
৯.
anne-frank
আনা ফ্রাংক (১৯২৯-১৯৪৫ খ্রীষ্টাব্দ)
“আনা ফ্রাংকের ডায়েরী” পৃথিবীর সবচেয়ে সাড়া জাগানো এবং অন্যতম পঠিত বই। মাত্র ১৩ বছর বয়সের এই কিশোরী এক গুপ্ত স্থান থেকে যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বরতার বর্ণনা করেছেন, তা সত্যিই যুগান্তকারী। তার একটি বিখ্যাত উক্তি এখনও মানুষের মন কাড়ে, “সবকিছুর পরও, আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি মানুষই মনের দিক থেকে ভালো”
১০.
j.k.rowling
জে.কে. রাউলিং (১৯৬৫-বর্তমান)
জে.কে. রাউলিং তার জগতবিখ্যাত হ্যারিপটার সিরিজের জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। আপনাদের মধ্যে কি কেউ আছেন যিনি হ্যারিপটার দেখেননি? মনে হয় না। একজন নারীর জীবনে চলার পথে হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে সফল হওয়ার তার এই দৃষ্টান্ত বিশ্বে অনুকরনীয়।
Sarmin Sultana
Assistant Coordination Officer
Department of Business Administration