বেশি নয়। এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ কমালেই পাওয়া যেতে পারে অভাবনীয় ফল। হ্যাঁ, লবণের পরিমাণ কমানোর কথাই বলা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রতিদিনের খাবারে এই সামান্য পরিমাণ লবণ কমিয়ে দিয়েই কমানো যেতে পারে মৃত্যুহার। গবেষণায় এর পক্ষে প্রমাণও দেখিয়েছেন তাঁরা। ইংল্যান্ডে যখন খাবারে লবণ কম ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়, তখন অর্থাৎ ২০০৩ সাল থেকে সেখানকার বিজ্ঞানীরা গবেষণাটি শুরু করেন। গবেষণাটি চলে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এতে দেখা যায়, গড়পড়তা লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমেছে ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ সাড়ে ৯ গ্রাম থেকে কমে আট গ্রামে নেমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের খাবারে মোট লবণের পরিমাণ ছয় গ্রাম বা এর চেয়ে সামান্য বেশি হলে সেটা স্বাস্থ্যকর। ইংল্যান্ডবাসীর খাবারে ওই সামান্য পরিমাণ লবণ হ্রাসেই চমকপ্রদ ফল পাওয়া গেছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমেছে ৪০ শতাংশ। মারাত্মক স্ট্রোকের হার কমেছে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত। উচ্চ রক্তচাপও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একেবারে হুট করে খাবারে লবণ কমানোর দরকার নেই। বরং প্রতিদিন একটু একটু করে লবণের পরিমাণ কমাতে থাকলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হবে। এতে খাদ্যাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন না এনেই লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব। প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রস্তুতকারক কম্পানিগুলোকেও খাবারে কম লবণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : ডেইলি মেইল।