থ্রিডি প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। থ্রিডি টেলিভিশন, থ্রিডি চলচ্চিত্র, থ্রিডি কম্পিউটার গ্রাফিকস, থ্রিডি প্রিন্টার- এমনই আরো কত থ্রিডি প্রযুক্তি। এবার আসছে থ্রিডি আয়না। সেটা আবার কী? এর প্রয়োজনটাই বা কী? উদ্ভাবকদের দাবি, ভবিষ্যতে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এই থ্রিডি আয়না।
ইউনিভার্সিটি অব প্যারিস-সাউথের বিজ্ঞানীরা এই আয়নার উদ্ভাবক। তাঁরা জানান, প্রথমে ব্যক্তির দেহের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পিইটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান ও এক্স-রে করার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এরপর ওই ব্যক্তি যখন বিশেষ এই আয়নার সামনে দাঁড়াবে, তখন তার দেহের নড়াচড়ার ছবি ধারণ করবে মাইক্রোসফট কাইনেকটস মোশন-ক্যাপচার ক্যামেরা। বিভিন্ন অস্থিসন্ধির নড়াচড়াও ধরা পড়বে ওই ক্যামেরায়। আগে ধারণ করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর ছবি এবং ক্যামেরায় ধারণ করা ছবির সমন্বয়ে আয়নায় ফুটে উঠবে ব্যক্তির দেহের ভেতরকার প্রকৃত চিত্র। ব্যক্তির ত্বকের নিচে থাকা দেহের প্রকৃত চিত্র দেখে কোনো সমস্যা শনাক্ত করাটা চিকিৎসকের জন্য অনেক সহজ হবে। দেহের প্রকৃত অবস্থা দেখে রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারে এই থ্রিডি আয়না চিকিৎসকের জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনই তা রোগীকেও প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে। উদ্ভাবকদের এমনটাই প্রত্যাশা। আগামী মাসেই কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠেয় কম্পিউটার-হিউম্যান ইন্টার-অ্যাকশন কনফারেন্সে থ্রিডি আয়না উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন উদ্ভাবকরা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।