দিনকাল মোটেই ভালো যাচ্ছে না। হুটহাট করেই যেন হাজির হচ্ছে বিপদ। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে অপহরণ-গুম-খুন। বিপদের মুহূর্তে মুঠোফোনে নম্বর টিপে সাহায্য চাওয়ার সুযোগ সব সময় না-ও মিলতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি অ্যাপ বিপদের বন্ধু হতে পারে।
৭ মে ডেইলি মেইল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বোস্টনভিত্তিক এক ডিজাইনারের ‘আই-অন মি’ নামের ওই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বিবেচনা করে। অ্যাপটি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাচ্ছে। বিপদে পড়লে আগে থেকে নির্ধারিত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেবে এই অ্যাপ।
অ্যালার্ম সেট করার পর স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিনে একটি বড় ‘চাপ’ বাটন উঠবে। বিপদে পড়লেই ওই বাটনে চাপ দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে।
স্মার্ট ফোনের হোম স্ক্রিনে থাকা আইকনের ওপর দ্বিতীয়বার চাপ দিলে ওই সতর্কবার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট হয়ে যাবে।
তৃতীয় চাপে ক্যামেরা চালু হবে। চতুর্থ চাপে ফটো তুলবে। পঞ্চমবার চাপলে হামলাকারীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেবে।
প্রতিটি সতর্কবার্তায় বিপদে পড়া ব্যক্তির বিপৎকালীন অবস্থানের সঠিক তথ্যও থাকবে। ম্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করা যাবে।
এই অ্যালার্ম নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ারও ব্যবস্থা অ্যাপটিতে আছে। তখন বার্তার মাধ্যমে অ্যাপটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে যে, ব্যবহারকারী নিরাপদে আছেন, বিপদ কেটে গেছে।
আবার অ্যালার্ম বন্ধ করে ট্র্যাকিং অপশন চালু রাখারও ব্যবস্থা আছে অ্যাপটিতে।
সতর্কবার্তাগুলো কার কাছে যাবে, ব্যবহারকারীই তা নির্ধারণ করবেন। তাঁকে অনুসরণ করার জন্য তিনি বন্ধু বা পরিজনদের কাছে অনুরোধও পাঠাতে পারবেন। নিবন্ধিত প্রত্যেক অনুসরণকারীর তালিকা সেটিং মেনুতে সংরক্ষিত থাকবে।
যেসব অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের অনুসরণ করতে চান, তাদের জন্যও এই অ্যাপটি কাজে আসবে।
অ্যাপটি এখন পাওয়া যাচ্ছে। মে পর্যন্ত কোনো খরচ ছাড়াই তা পাওয়া যাবে। তবে এরপর নিলে খরচ পড়বে এক ডলার।