আলোর অস্তিত্ব কেবল অনুভব করা যায়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না। সেই অস্পর্শযোগ্য আলো থেকে পদার্থ গঠন তত্ত্বের অবতারণা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। তবে এত দিন পর্যন্ত তা কেবল তত্ত্বেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার বাস্তবে তা করে দেখিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানী জি ব্রেইট ও জন এ হুইলার আলো থেকে পদার্থ তৈরি তত্ত্বের প্রবক্তা। ওই তত্ত্বানুসারে আলো তথা দুটি ফোটন কণার মধ্যকার সংঘর্ষের মাধ্যমে ইলেকট্রন ও পজিট্রন সৃষ্টি করা সম্ভব। পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে ইলেকট্রন ও পজিট্রন হচ্ছে পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক। এই তত্ত্বটিকে পরীক্ষাগারে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের পদার্থবিদরা। দুটি ধাপে তাঁরা কাজটি সম্পন্ন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে অত্যন্ত উচ্চ তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে লেজাররশ্মি ব্যবহার করে কিছু ইলেকট্রনকে প্রায় আলোর গতিতে পরিচালিত করা হয়। প্রায় আলোর গতিপ্রাপ্ত ইলেকট্রন কণাগুলো নিক্ষেপ করা হয় স্বর্ণের পাতের ওপর। এর ফলে সাধারণ আলোকরশ্মির তুলনায় শত কোটি গুণ বেশি শক্তিশালী ফোটনরশ্মি সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করা হয় স্বর্ণের তৈরি পাত্র, যা তাপ বিকিরণক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। প্রথম পর্যায়ের অনুসরণে দুটি ভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট ফোটনরশ্মিগুলো ওই তাপ বিকিরণক্ষেত্রের কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়। ফোটনরশ্মিগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয় ইলেকট্রন ও পজিট্রন তথা পদার্থের ক্ষুদ্রতম রূপ। পদার্থবিজ্ঞানের জন্য নিঃসন্দেহে এটি অসাধারণ অর্জন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।