ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরা
স্মার্টফোনকে ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে রূপান্তর করার বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটপ্লেসে পাবেন। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আইপি ওয়েবক্যাম, আইওএসের জন্য আইভিজিলো স্মার্টক্যাম কাজে আসতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরার সাহায্যে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পারে যা অন্য কোনো স্ট্রিমিং সমর্থিত পণ্যের যেকোনো ব্রাউজারে বা ভিডিও প্লেয়ারে দেখা যায়। এজন্য পুরোনো স্মার্টফোনটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে, চার্জার প্লাগ ইন করতে হবে। স্ট্রিমিং অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকলে এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকলেই আপনার পুরোনো মোবাইল ফোনটি ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরার কাজ করবে।
পিসির রিমোট কন্ট্রোলার
আপনার পুরোনো মোবাইল ফোনটিকে পিসির রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। পিসির কন্ট্রোলার হিসেবেও যদিও ওয়্যারলেস মাউস সবচেয়ে সুবিধার, কিন্তু যদি দূরে সোফা বা চেয়ারে বসে কম্পিউটার চালানোর প্রয়োজন হয়, তখন পুরোনো স্মার্টফোনটিকেও কন্ট্রোলার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। কম্পিউটারের ব্রাউজিং বা কোনো ভিডিও যদি বড় স্ক্রিনে দেখতে চান তবে পুরোনো মোবাইলটি কাজে লাগান। বিনামূল্যের অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল মাউস লাইট এক্ষেত্রে আপনার কাজে লাগতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনটির পাশাপাশি মোবাইল মাউসের ওয়েবসাইট থেকে সার্ভার সফটওয়্যারটিও ডাউনলোড করে নিতে হবে। মোবাইল ফোনটিকে পিসি রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে মোবাইল ও পিসি উভয়ই একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে থাকতে হবে আর বাকি কাজটি সফটওয়্যারই সম্পন্ন করবে। মোবাইল মাউস অ্যাপটির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়েই মাউস, কিবোর্ড কিংবা ইউনিভার্সাল রিমোটের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য
লজিটেকের টাচ মাউস অ্যাপটিও কাজে লাগানো যেতে পারে।
ওয়্যারলেস রাউটার
আপনার পুরোনো স্মার্টফোনটি কী বিল্ট ইন ওয়াই-ফাই হটস্পট? এই ফিচারটি থাকলে আপনি সহজেই পুরোনো স্মার্টফোনটিকে পোর্টেবল রাউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। থ্রিজি সিমকার্ড দিয়ে এই সুবিধা নিতে পারেন। পকেট ওয়াই-ফাই হিসেবে এই পুরোনো স্মার্টফোনটি ব্যবহারের ফলে প্রতিটি ইন্টারনেট সুবিধার পণ্যে আলাদা আলাদা ইন্টারনেট নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। নিরাপদ অ্যাকসেস পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের হটস্পট তৈরি করে নিতে পারেন নিজেই।