ইউরোপিয়ান আদালতের রায় মেনে ‘রাইট টু বি ফরগটেন’ সেবা চালু করেছে গুগল। এর মাধ্যমে গুগলের সার্চ রেজাল্ট থেকে নিজেদের তথ্য মুছে দেওয়ার জন্য গুগলকে অনুরোধ করতে পারবেন ইউরোপিয়ানরা।
বার্তাসংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী অনুরোধ করলে ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘পুরনো’ লিংক সার্চ রেজাল্ট থেকে গুগলকে সেটা বাদ দিতে হবে বলে ১৩ মে রায় দিয়েছিল ইইউ আদালত। গুগল ইইউ নাগরিকদের অনুরোধের ভিত্তিতে মাধ্যমে লিংক মুছে দেওয়ার সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে শুক্রবার।
এ জন্য অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে অনুরোধকারীকে। পাশাপাশি যে লিংকগুলো মুছে দিতে চান দিতে যোগান দিতে হবে সেই লিংকগুলো, সঙ্গে থাকতে হবে ফটো আইডি।
শুক্রবার থেকে এই সেবা চালু করলেও আদালতের ওই রায়ের পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ইউরোপিয় নাগরিকদের কাছ থেকে ডেটা মুছে দেওয়ার অনুরোধ পাচ্ছে ওয়েব জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগলের ডেটাবেইজে জমা হওয়া এরকম অনুরোধের অর্ধেক অনুরোধই এসেছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে আছে অভিযুক্ত শিশু নিপীড়ক এবং খুনিরাও।
লিংক মুছে দেওয়ার প্রতিটি অনুরোধই বিবেচনা করে দেখা হবে এবং একজন ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার এবং সাধারণ নাগরিকদরে তথ্য জানার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
লিংক মুছে দেওয়ার অনলাইন ফর্মে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আপনার অনুরোধটি পর্যালোচনা করে দেখার সময় সার্চ রেজাল্টগুলো বেশি পুরনো কিনা এবং জনস্বার্থ রক্ষায় কোনো গুরুত্ব আছে কিনা তা বিবেচনা করে দেখব।”
অনুরোধ পর্যালোচনা করে দেখার সময় অনুরোধকারীর বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক জালিয়াতি, অপেশাদারিত্বে অভিযোগ আছে কি না, মামলার অভিযুক্ত আসামী কিনা এই বিষয়গুলো তদন্দ করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
গুগল আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন গুগল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ। তবে আদালতের এই রায়ে উদ্ভাবনের গতি বাধাগ্রস্থ হবে বলেও ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন তিনি।