পুরান জ্যোতিষী ভাত পায় না, নতুন জ্যোতিষীর আমদানি। আমদানিকারকের নামটা এবার বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ চীন। এমনটাই বলছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। তবে এবার অক্টোপাস নয়, জ্যোতিষীর দায়িত্ব পালন করবে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পান্ডা প্রজনন খামারের কয়েকটি পান্ডা!
এ জন্য অবশ্য তাদের বেশ কসরতও করতে হবে। গাছে উঠে পছন্দসই ঝুড়িতে খাবার রেখে ভবিষ্যদ্বাণী করতে হবে তাদের। ঝুড়িতে অঙ্কিত থাকবে ম্যাচে মুখোমুখি দুই দেশের পতাকা। কায়দাটা অনেকটা পলের মতোই। পলও দুই দেশের পতাকা অঙ্কিত খাঁচার একটি খাবার বেছে নিত। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, পল যে পতাকাটি বেছে নিয়েছে, পরে সেই দেশই জিতেছে। গত বিশ্বকাপে আটটি ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল পল। সবগুলোতেই দশে দশ!
গত বিশ্বকাপের সেই জ্যোতিষী অক্টোপাসের খ্যাতিকেও নাকি ছাড়িয়ে যাবে পান্ডাগুলো। এমনই দাবি চীনাদের। ইতিহাস অবশ্য এমনটা বলে না। পলের পরে এমন জ্যোতিষীর আবির্ভাব ঘটেছে প্রচুর। কখনো জ্যোতিষী শূকর, কখনো বা ভারতীয় এক হাতি। যদিও এগুলোর কোনোটিই পলের মতো কারিশমা দেখাতে পারেনি।
চীনারা অবশ্য অত কথা শুনতে রাজি নয়। এবারের বিশ্বকাপের নকআউট পর্বজুড়ে তাদের পান্ডারা গাছে চড়ে চালিয়ে যাবে তাদের জ্যোতিষচর্চা।
বর্তমানে চীনে মোটমাট ১ হাজার ৬০০-এর মতো পান্ডা আছে, যাদের প্রজননের হারও অত্যন্ত কম। পান্ডারা বিপন্ন এক প্রজাতি। জার্মানদের ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশনে একমাত্র সফল ‘জার্মান’ অক্টোপাস পল মারা গিয়েছিল বিশ্বকাপের পরপরই। ম্যাচের ভবিষ্যত্ ঠিকঠাক বলে যদি পান্ডাদেরও পলের ভাগ্য বরণ করতে হয়, তাহলে চীনাদের জন্য তা নিশ্চয়ই বেশ চিন্তারই ব্যাপার হবে।