ফ্রাঙ্ক রিবেরিই ছিলেন ফরাসিদের বিশ্বকাপ মিশনের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কিন্তু শেষ মুহূর্তের চোট তাঁকে ছিটকে দিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। দলের প্রাণভোমরাকে ছাড়া ফ্রান্স কেমন খেলবে এ নিয়ে একটা সন্দেহ-সংশয় ছিলই। কিন্তু নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সব সংশয় উড়িয়ে দিয়েছেন করিম বেনজেমা-অলিভিয়ের জিরুরা। জ্যামাইকার বিপক্ষে ৮-০ গোলের বিশাল জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেই ব্রাজিলে পা রাখবে ১৯৯৮ সালের শিরোপাজয়ীরা।
১৯৯৫ সালের পর এটাই ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। সেবার ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে আজারবাইজানকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্স। রিবেরির অনুপস্থিতিতে দারুণভাবে দলের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বেনজেমা। নিজে করেছেন দুটি গোল।
সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও তিনটি। জোড়া গোল করেছেন ব্লেইজ মাতুইদি ও আন্তোনি গ্রিয়েজম্যান। অপর দুটি গোল এসেছে ইয়োহান কাবাই ও অলিভিয়ের জিরুর পা থেকে।
তবে বড় ব্যবধানের এই জয়ের পরও সতর্ক অবস্থানেই আছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে কিন্তু হন্ডুরাসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটাও জিতব, তেমন কোনো গ্যারান্টি আমরা পাইনি।’ আগামী রোববার পোর্তো আলেগ্রেতে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই শুরু হবে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ মিশন। ‘ই’ গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর ও সুইজারল্যান্ড।
জ্যামাইকার বিপক্ষে ফরাসিদের গোল উত্সবের শুরুটা করেছিলেন কাবাই। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পেয়েছিল ফ্রান্স। ২০ ও ৩৭ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন মাতুইদি ও বেনজেমা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেন দেশমের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স হয়ে উঠেছিল আরও দুর্ধর্ষ। ৫৩ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করেন জিরু। ৬৩ ও ৬৬ মিনিটে আরও একটি করে গোল করেন বেনজেমা ও মাতুইদি। ৭১ মিনিটে জিরুর বদলি হিসেবে মাঠে নেমে গ্রিয়েজম্যান করেছেন শেষ দুটি গোল। ৭৭ ও ৮৯ মিনিটে জ্যামাইকার জালে বল জড়িয়েছেন এই ফরাসি উইঙ্গার। রয়টার্স