রোজাদার মুমিন বান্দার ইমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের শ্রেষ্ঠতম পথ আল্লাহর স্মরণ বা জিকির। শয়তানের প্ররোচনা থেকে জিকিরই সব সময় বেঁচে থাকার শক্তিশালী হাতিয়ার। সৃষ্টিকর্তার ওপর সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে একজন রোজাদারের চিত্তের প্রশান্তি। রমজান মাসে সীমাহীন উচ্চাভিলাষ বা লোভ-লালসা তাকে তাড়িত করে না। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সত্য-মিথ্যা ও ভালো-মন্দ বোঝার জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েছেন।
তাই আল্লাহর স্মরণ বা জিকির এবং তাঁর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা প্রতিটি রোজাদার মানুষের ইমানি দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘সুতরাং তোমরা আমাকেই স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হোয়ো না।’ (সূরা আল–বাকারা, আয়াত: ১৫২)
রোজার মাসে বেশি বেশি জিকির মানুষকে নফসের দাসত্ব ও শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে। মাহে রমজানে দৃষ্টিকে সংযত রেখে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে জিকিরের মাধ্যমে মানবাত্মার বিকাশ ঘটানো দরকার। আত্মবিকাশই আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণে দৃঢ় হয় বান্দার সঙ্গে স্রষ্টার প্রেমের বন্ধন। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘তিনি তাদের তাঁর পথ দেখান, যারা তাঁর অভিমুখী, যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়, জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়।’ (সূরা আর রাদ, আয়াত: ২৭-২৮)
Sourse: prothom-alo