চলছে বর্ষাকাল, হচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি তারপরও খোলা আকাশের নিচে থাকা ভূমিতে পড়ছে না বৃষ্টির ফোঁটা। তাও কি সম্ভব? এমন প্রশ্ন মনে আসতে পারে। কিন্তু তাক লাগানো ব্যাপার হলো পুরো একটা দ্বীপেই বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে না। আর বিস্ময়কর দ্বীপটির নাম বাল্ট্রা দ্বীপ।কোন এক রহস্যজনক কারণে বাল্ট্রার উপর বৃষ্টি হলেও তা সরাসরি নিচে না পড়ে অন্যপাশে গিয়ে পড়ে।ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশেষ দ্বীপ এটি। দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। তার মধ্যে বাল্ট্রা এক অদ্ভুত ও রহস্যজনক দ্বীপ।দিকনির্দেশক কম্পাস এই দ্বীপে ঠিকমতো নির্দেশনা দেয় না। এখানকার প্রতিটি দ্বীপেই রয়েছে সিল মাছ, ইগুয়ানা, দানবীয় কচ্ছপ, গিরগিটিসহ বিরল প্রজাতির প্রাণী। বাল্ট্রাতে নেই কোন মানুষের বসবাস। নেই কোন প্রাণী , উদ্ভিদ বা কীটপতঙ্গও।এ দ্বীপে ইউএস সরকার নির্মাণ করেছে এয়ারবেস। ফ্রেন্সিস ওয়ানার নামে একজন এখানে দায়িত্ব পালন করতেন। এ দ্বীপপুঞ্জে থাকাকালীন বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে রীতিমতো বিস্ময়ের ঝড় ওঠে।তিনি বলেছেন, ‘জীবনের বড় বড় বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি আমি বাল্ট্রা দ্বীপে গিয়ে’।সবসময় দিক-নির্দেশকারী কম্পাস এখানে আসলেই থমকে দাঁড়ায়। দিক-নির্দেশক কাঁটা ইচ্ছেমতো ঘুরে দিক নির্দেশনা দেয় উল্টোপাল্টা।আরেকটি রহস্যজনক ব্যাপার হলো বাল্ট্রা দ্বীপের ওপর বিমান যাওয়ার সময়েও নিয়ন্ত্রনহীন আচরণ করে কম্পাস। আবার দ্বীপ পার হলেই সব ঠিক।আরেকটি তাক লাগানো ব্যাপার বাল্ট্রায় পা রাখা মাত্রই মাথা হালকা হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ এ দ্বীপে থাকলে দ্বীপ থেকে চলে আসার পর কয়েকদিন সেই অনুভূতি থেকে যায়। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে ঠিক হয়।অদ্ভুত এ বাল্ট্রা দ্বীপে কোনো পশুপাখি আসতে দেখা যায় না। বাল্ট্রাকে এড়িয়ে পাশের দ্বীপ সান্তাক্রুজের ধার ঘেঁষে চলে যায় সব প্রাণী। শুধু তাই নয়, উড়ন্ত পাখিগুলোও বাল্ট্রার কাছে এসেই ফিরে যাচ্ছে। মনে হয় যেন কোনো দেয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। এই দ্বীপের রহস্যের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি বিজ্ঞানীরা।
Source:campuslive24