To Travel in Comfort and Safety Driverless Smart Car

Author Topic: To Travel in Comfort and Safety Driverless Smart Car  (Read 853 times)

Offline khairulsagir

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 142
  • Test
    • View Profile
To Travel in Comfort and Safety Driverless Smart Car
« on: July 20, 2014, 01:17:57 PM »
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর গাড়ি রাখার (পার্কিং) জায়গা নিয়ে কেন ভাববেন, যখন আপনার মোটরগাড়িটি নিজেই আপনার সেই কাজটা করে দিতে পারে? এ রকম ধারণা কয়েক বছর আগেও কেবল বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতেই সম্ভব ছিল। কিন্তু সেটাই এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর সে জন্য ধন্যবাদটা স্বয়ংক্রিয় মোটরগাড়ি বা রোবটকারেরই প্রাপ্য।
মানুষবিহীন গাড়ি নিজে নিজেই অবলীলায় এগিয়ে যাবে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানের দিকে। কখনো দাঁড়িয়ে পথচারীকে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ করে দেবে। তারপর পেছন দিকে চলতে শুরু করে সরু পথ ধরে ন্যূনতম ধাক্কা বা সংঘর্ষ এড়িয়ে অন্য গাড়িগুলোকে পাশ কাটিয়ে পার্কিং সম্পন্ন করবে। স্মার্টকার বা অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় মোটরগাড়ির এই অভিনব প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে সুইডেনের মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভলভো এবং যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ভলোও। এই প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে নির্মাতারা বলেছেন, আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে আগামী ছয় বছরে এটি অনেক বেশি সহজলভ্য হবে।
সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নিজে নিজে চলতে পারে এমন কয়েকটি মোটরগাড়ির প্রচলন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যেমন: গাড়িচালক যখন একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, তখন মার্সিডিজ সিএলএস কুপে গাড়িটি নিজে নিজে ব্রেক করতে পারে। আর বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের কয়েকটি মডেলের গাড়িও রাস্তা সম্পর্কে চালকদের আগেভাগে সতর্ক করে দেয়।
ভলোওর গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক গিয়ম দ্যভশেল বলেন, স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নানা রকম প্রযুক্তি ইতিমধ্যে চলে এসেছে। কিন্তু এখন তাঁরা এ ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছেন।রাডারের দ্রুতগতির প্রযুক্তি এবং শনাক্তকারী ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এখন মোটরগাড়িগুলো আশপাশের বিভিন্ন জিনিস ‘দেখতে’ পাবে।আর গাড়িতে স্থাপিত কম্পিউটার সড়কের বিভিন্ন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সঠিকভাবে পথচলার নির্দেশনা দেবে।
নিজে নিজে চলতে সমর্থ গাড়ি ২০২০ সালের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বলে গবেষকেরা আশাবাদী। আর এ-সংক্রান্ত প্রযুক্তির বর্তমান উৎকর্ষ সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর অতিমাত্রায় স্বাধীন রোবটকার হাতের নাগালে আসতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বোশ-এর বিপণন শাখার পরিচালক ফ্রাংক কাজেনাভ বলেন, রোবটকারের প্রচলন হলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমবে। কারণ, মানুষের ভুলেই ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
রোবটকারের আবির্ভাবে আরও কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে মানুষ। গাড়িগুলো একে অপরের সঙ্গে কথা বলবে এবং সড়কপথে গাড়ি চলাচল (ট্রাফিক) নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারব্যবস্থার সঙ্গেও সব সময় যোগাযোগ রাখবে। ফলে তখন ট্রাফিক হবে নির্বিঘ্ন এবং জ্বালানিখরচও অনেক কমে আসবে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ সেবাস্তিয়ান আমিচি বলেন, ২০৩০ সালের পরে মানুষের সার্বক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই তৈরি থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক গাড়ি। সত্যিকারের স্মার্ট গাড়িগুলো মানুষের ভ্রমণে আনবে আরও বেশি স্বস্তি। গাড়িচালকেরাও অন্য কাজের ফুরসত পাবেন।
সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় জাপানি গাড়ি নিয়ে পাঁচ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বিখ্যাত প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গুগল। বিদ্যুৎচালিত চালকবিহীন গাড়িও তারা নির্মাণ করেছে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুলও বটে। একটি গুগল কারের রাডার প্রযুক্তির জন্য খরচ পড়ে ৮২ হাজার মার্কিন ডলার। তবু যুগের চাহিদা আর সেনসর বা সংবেদীর গুণগত মান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়েই রোবটকার তৈরির উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছেন গবেষকেরা। কিন্তু সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি কম্পিউটারের হাতে সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়ার কতটা ঠিক হবে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে আরও সুচিন্তিত অবস্থান নিতে হবে।

সূত্র: এএফপি