বিশ্বকাপ শেষে কোচদের পালাবদল নতুন কিছু নয়।ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায়ও লেগেছে সেই হাওয়া। তবে ব্রাজিলে যেখানে লুইস ফেলিপে স্কলারি ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে গেছেন, আর্জেন্টিনা কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা দলকে ফাইনালে তুলে নিজেই দিয়েছেন সরে যাওয়ার আভাস
আলেসান্দ্রো সাবেলাপ্রচণ্ড ব্যস্ত থেকে হঠাৎ করে ঝাড়া হাত-পা হয়ে গেলে একটা শূন্যতা তৈরি হতেই পারে। দেহ-মনে অবসাদ ভর করাটাই স্বাভাবিক। আলেসান্দ্রো সাবেলা এখন সেই অবস্থাতেই আছেন। বিশ্বকাপের তুঙ্গস্পর্শী চাপ দুম করে ঘাড়ের ওপর থেকে সরে গেছে। এখন ডাগ-আউটের সেই উদ্বেগ, সেই নখ কামড়ানো মুহূর্ত নেই। কিন্তু আর্জেন্টিনার কোচের কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো উদ্যম কি আছে? সাবেলা নিজেই জানিয়েছেন এমন সংশয়ের কথা। আর্জেন্টিনার কোচ থাকবেন কি না সেটা জানা যাবে পরের সপ্তাহের আগেই।
ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সাবেলার বিশ্বকাপ অভিযানকে ব্যর্থ বলা যাবে না। আর্জেন্টিনাকে দল হিসেবে সুসংগঠিত করেছেন, নিয়ে গেছেন ফাইনালে। গোটশের ওই গোলটা না হলে হয়তো বিজয়ীর বেশেই শেষ করতে পারতেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে রেখে দিতে চাওয়ারই কথা। কিন্তু সাবেলা নিজেই জানাচ্ছেন, কাজ চালিয়ে যাবেন কি না সেটা নির্ভর করছে উদ্যমের ওপর, ‘প্রথমত, আমি জানি না এএফএ (আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন) আমাকে নিয়ে কী ভাবছে। এখন আমি কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে চাই। তবে আমি বেশি দিন ব্যাপারটা ঝুলিয়ে রাখতে চাই না কারণ আমি একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আমি এই সপ্তাহের শেষে এটা নিয়ে ভাবব। এর পর হুলিও গ্রন্ডোনার (ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে কথা বলব। আমি যদি মনে করি শতভাগ উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে পারছি, তাহলেই শুধু কাজ চালিয়ে যাব।’
থাকুন আর না-থাকুন, সাবেলাকে ইতিহাস মনে রাখবেই। ২৪ বছর পর যে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন! উদাহরণ দিতে গিয়ে মেসিকেও স্মরণ করেছেন সাবেলা, ‘দল কী করেছে সেটা বোঝার জন্য মেসি ভালো উদাহরণ। এককভাবে নয়, দলীয়ভাবেই সে সবকিছু ভেবেছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য ওকে অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। আর্জেন্টাইন হওয়ার জন্য, আর্জেন্টিনাকে বেছে নেওয়ার জন্য ওকে ধন্যবাদ।’ গোলডটকম।