জীবনের প্রথম চাকরির বিষয়ে কিছুটা নার্ভাস থাকতে পারে। কর্মজীবনের প্রথম কর্মক্ষেত্রের আবেদনটাই ভিন্ন। এখানে বন্ধুসুলভ কিন্তু প্রতিযোগী অভিজ্ঞ সহকর্মীদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরাটা চ্যালেঞ্জিং। আবার প্রথম চাকরিতে সফলতা না আসলে হতাশায় ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথম চাকরিতে সফল হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সাতটি পরামর্শ নিন।
১. সহকর্মীদের প্রতি উদার হোন : শুধু প্রথম চাকরিতে নয়, সবখানেই সহকর্মীদের প্রতি উদার থাকাটা সফলতার প্রাথমিক শর্ত। কাজে ভারসাম্য আনতে এবং দক্ষতা বাড়াতে উদার হতে হবে আপনাকে। এই গুণের কারণেই বসের কাছে আপনার ব্যাপারে প্রশংসা পৌঁছে যাবে এবং বিপদে সাহায্যের হাত বাড়াবেন অনেকে।
২. সময়নিষ্ঠ হোন : পেশাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনার সময়জ্ঞান। কর্মক্ষেত্রে সময়ের আগে অথবা অন্তত সময়মতো পৌঁছানো সেরা গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অফিসে দেরিতে এতে সময়মতো চলে যাওয়ায় আপনার ভালো কাজকেও অন্ধকারে রেখে দেবে।
৩. আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন : জরুরি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজের ঝামেলা থাকলে তা আগে থেকেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখতে হবে। আকস্মিক কোনো ঝামেলা আসতেই পারে। তবে অন্য ক্ষেত্রে অফিসকে আগে থেকে জানিয়ে রাখা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম।
৪. সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানুন : একই সঙ্গে কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে শিখতে থাকা এবং ভারসাম্য রেখে কাজ করার জন্য প্রয়োজন আপনার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। আপনার দায়িত্ব বা অধিকারের বাইরে কাজ করতে যাবেন না। বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে তা করা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু ইচ্ছে করলেই অন্যের সীমায় পা রাখাটা রীতিমতো অন্যায় বলে বিবেচিত হবে।
৫. উপদেশ ও পরামর্শ নিন : যেকোনো সমস্যায় অভিজ্ঞ বা উর্ধ্বতনদের কাছ থেকে উপদেশ ও পরামর্শ চেয়ে নিন। এ কাজটিতে সংশ্লিষ্টজনের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হবে এবং একই সঙ্গে শিখতেও পারবেন সহজে। কারো কাছে উপদেশ বা পরামর্শ আকারে কিছু চাইলে আগ্রহের সঙ্গে সাহায্য করবেন সবাই।
৬. মুখে হাসি রেখে সার্ভিস দিন : যে কাজই করুন না কেন, সেবা দিন মুখে হাসি রেখে। এই হাসি যেকোনো মানুষের সঙ্গে আন্তরিকতা তৈরি করে দেবে। ক্রেতাদের সঙ্গে আপনার কাজ করতে হলে এই হাসির ফলেই বসের কাছে আপনার বিষয়ে অভিযোগ অনেক কম যাবে। আবার এই হাসিই প্রশংসাসূচক মন্তব্য বয়ে আনবে আপনার জন্য।
৭. কাস্টমার হলেন... : এই শিরোনামটি শেষ করা খুব কঠিন বিষয়। আসল কথা হলো, কাস্টমারই সবকিছু এবং তারা সব সময় সঠিক। তাই তারা যদি আপনার বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তবে প্রতিষ্ঠান পুরোই সন্তুষ্ট। আবার আপনি অনেক ভালো কাজ করার পরও যদি কাস্টমার আপনার ওপর নাখোশ থাকেন, তবে প্রথম চাকরিতে সফলতা পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
সূত্র : ইন্টারনেট