সৌর শক্তি-চালিত একটি বিমানকে পরীক্ষামূলকভাবে উড়ানো হয়েছে।
সুইৎজারল্যান্ডের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের সোয়া দু’ঘণ্টা পর এটি আবার ফিরে আসে ২রা জুন।
সোলার ইমপাল্স টু'র সফল উড্ডয়ন
‘সোলার ইমপাল্স টু’ নামের এই বিমানটির আগামী বছরে বিশ্ব ভ্রমণে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছর সমগ্র অ্যামেরিকায় ঘুরে বেড়ানো একটি বিমান- ‘সোলার ইমপাল্স ওয়ানে’র উন্নত ও বৃহত্তর সংস্করণ এটি।
উদ্বোধনী এই ফ্লাইটের ককপিটে ছিলেন পাইলট মার্কাস শ্রেডেল।
এসময় তিনি প্রায় ৬ হাজার ফুট উপরে উঠে কয়েকটি ম্যানুভার সম্পন্ন করেন।
প্রাথমিক কিছু কম্পন ছাড়া তিনি এই মিশনকে উল্লেখ করেন অত্যন্ত সফল একটি উড়ান হিসেবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানের জন্যে বিকল্প এই জ্বালানীর ব্যবহারকে তারা বাড়াতে চান, যাতে বিমান চলাচলের কারণে পরিবেশ দূষিত না হয়।
বিমানটি কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি। দু’পাশে লম্বা বিশাল দুটো পাখা, যা কিনা Boeing 747 এর পাখার চেয়েও বড়ো ও বিস্তৃত। কিন্তু এই পাখা দুটোর ওজন খুবই সামান্য- দুই দশমিক ৩ টন।
এই বিমানের প্রথম সংস্করণ ইতোমধ্যেই কিছু বিশ্ব রেকর্ড করেছে।
চালককে নিয়ে এটি আকাশে উড়েছে সবচে লম্বা সময়- ২৬ ঘণ্টা। পুরো অ্যামেরিকা পাড়ি দিয়েছে। এবং রাতের বেলা উড্ডয়নের জন্যে যথেষ্ট জ্বালানী ব্যাটারিতে জমা রাখতেও সক্ষম হয়েছে।
এই বিমানের পাখাতে রয়েছে ১৮ হাজারের মতো সোলার সেল যা সূর্যের আলোক রশ্মিকে বিদ্যুতে পরিণত করে। তারপর সেই বিদ্যুৎ পাঠানো হয় ইঞ্জিনের মোটরে। এছাড়াও এই বিদ্যুৎ রাতের ব্যবহারের জন্যে লিথিয়াম ব্যাটারিতে সঞ্চয় করে রাখা হয় যা রাতের বেলা বিমানের প্রপেলারগুলোকে সচল রাখে।