এবার মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন!

Author Topic: এবার মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন!  (Read 939 times)

Offline maruppharm

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1227
  • Test
    • View Profile
মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। তারা ‘লাল গ্রহটির’ বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এতে সহায়তার জন্য সেখানে পাঠানো হবে মার্স ২০২০ নামের একটি রোবটযান।
নাসা জানায়, সাতটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প নিয়ে মার্স ২০২০ মঙ্গলে অবতরণ করবে ২০২১ সালে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে মানুষবাহী নভোযানের অবতরণ, প্রাণের চিহ্ন অনুসন্ধান ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ প্রভৃতি কাজে বড় ধরনের সাফল্যের আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকদের তৈরি একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদনের ওই চেষ্টা চালানো হবে। যন্ত্রটির নাম মার্স অক্সিজেন আইএসআরইউ এক্সপেরিমেন্ট (মক্সি)।
এমআইটির গবেষক মাইকেল হেচেট বলেন, মক্সি শুরুতে ঘণ্টায় এক আউন্সের তিন ভাগের একভাগ অক্সিজেন তৈরি করবে। পরীক্ষামূলক এই প্রক্রিয়া সফল হলে পরে আরও বড় পরিসরে অক্সিজেন উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
নাসার অভিযানবিষয়ক কর্মকর্তা উইলিয়াম এইচ গার্স্টেনমেয়ারের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মঙ্গলে উত্পাদিত অক্সিজেন দিয়ে রকেটের জ্বালানি তৈরি করা যাবে। আর তাহলে মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে যাতায়াতও সহজ হয়ে যাবে। কারণ, ওই গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার নভোযানের জন্য পৃথিবী থেকে জ্বালানি নিয়ে যাওয়াটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। এ ছাড়া একদিন হয়তো মঙ্গলে উত্পাদিত অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাসও নিতে পারবেন ভবিষ্যতের নভোচারীরা। মঙ্গলের জলবায়ুতে মানুষের সম্ভাব্য নানা সমস্যা সম্পর্কে মার্স ২০২০-এর অভিযানে জানা যাবে।
মার্স ২০২০ সম্পর্কে নাসা জানিয়েছে, ওই রোবটযানে বিশেষভাবে তৈরি দুটি ক্যামেরা থাকবে। এতে ধারণ করা হবে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ভিডিও, যা দেখে পৃথিবীতে থেকেও যে কেউ মঙ্গলে অবস্থানের অনুভূতি পাবেন। এ ছাড়া মার্স ২০২০-এ থাকবে পরীক্ষামূলক একটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এবং একটি রাডার। এতে গ্রহটির ভূ-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা চালানো সহজ হবে।
সাবেক মহাকাশচারী ও নাসার একজন কর্মকর্তা জন গানসফেল্ড রোবটযান মার্স ২০২০-এর গঠন সম্পর্কে গত সপ্তাহে বিস্তারিত জানান। ইতিমধ্যে মঙ্গলে অবস্থানরত নাসার আরেকটি রোবটযান (অপরচুনিটি) গ্রহটির পৃষ্ঠে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এটি পৃথিবীর বাইরের কোনো স্থানে কোনো রোবটযানের অতিক্রান্ত সর্বোচ্চ দূরত্ব। এটি ২০০৪ সালে মঙ্গলে পৌঁছায়।
নাসা জানায়, এক টন ওজন ধারণক্ষমতার মার্স ২০২০ রোভার তৈরিতে ব্যয় হবে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এটির গঠন অনেকটাই মঙ্গলে অবস্থানরত আরেকটি রোবটযান কিউরিওসিটির মতো। ২০১২ সালের আগস্টে কিউরিওসিটি মঙ্গলে অবতরণ করে। তবে মার্স ২০২০ রোভার কিউরিওসিটির চেয়ে কম ওজনের যন্ত্রপাতি থাকবে। কিউরিওসিটি ৭৫ কেজি যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে। আর মার্স ২০২০ নেবে ৪০ কেজি। তা ছাড়া এটি মঙ্গলপৃষ্ঠের মাটির নমুনা সংগ্রহ করে বহন করবে। আশা করা হচ্ছে, এসব নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। গবেষকদের এ রকম আশার নেপথ্যে রয়েছে আক্সিজেন তৈরির সম্ভাব্য সামর্থ্য। কারণ জ্বালানি বহনে নভোযানের ওজন এবং সার্বিক খরচ-দুটোই বাড়ে। নাসার অন্যান্য নভোযানে আগে থেকেই অক্সিজেন উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকলেও মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এ ধরনের উদ্যোগটি হবে প্রথম।
মক্সি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষক টম পাইক। তিনি বলেন, রোবটযানে এই যন্ত্র সংযোজনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণার চেয়ে অভিযানের প্রতিই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চাঁদে সফল অভিযানের পর মানুষের নতুন লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মঙ্গল গ্রহ।
এএফপি ও বিবিসি।
Md Al Faruk
Assistant Professor, Pharmacy

Offline Mosammat Arifa Akter

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 187
  • Test
    • View Profile
informative  post.
Mosammat Arifa Akter
Senior Lecturer(Mathematics)
General Educational Development
Daffodil International University