যেকোনো পণ্যের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বিভিন্নভাবেই চলে বিজ্ঞাপনের প্রচার। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ধরনও বদলে গেছে অনেকটাই। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য স্থাপিত হয়েছে কিছু ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’। এই ডাস্টবিনগুলো ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সাহায্যে এটির আশপাশ দিয়ে যাতায়াত করা পথচারীদের ওপর নজরদারি চালাবে। ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সময় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘রিনিউ’-এর সহায়তায় লন্ডন শহরে প্রায় ১০০টির মতো স্মার্ট ডাস্টবিন বসানো হয়। এসব ডাস্টবিন পর্দার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাত।
সম্প্রতি সেই ডাস্টবিনগুলোর কয়েকটির সংস্কার করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিনিউ। পথচারীর সঙ্গে থাকা যেকোনো যন্ত্রে ওয়াই-ফাই সক্রিয় থাকলে ডাস্টবিন সেগুলো চিহ্নিত করবে। এটি যন্ত্রগুলোর ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন’ নম্বর চিনতে পারবে। যদি কোনো যন্ত্রের নম্বর চিনতে ব্যর্থ হয় তবে ডাস্টবিন সেই যন্ত্রের প্রস্তুতকারীর নাম ও মডেল নম্বর চিহ্নিত করবে। এটি প্রতিদিন যন্ত্রের মালিকের পথের রুট ধারণ করে রাখবে। পাশাপাশি তিনি কত গতিতে হাঁটছেন, কোন দিকে যাচ্ছেন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নজর রাখবে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটি পথচারীর ভবিষ্যৎ গতিবিধি সম্পর্কে নিজেই অনুমান করে নেবে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘রিনিউ’ জানিয়েছে, তারা লন্ডন শহরে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর জরিপ চালানোর উদ্দেশ্যে নতুনভাবে ডাস্টবিনগুলোকে সাজিয়েছে। তবে তাদের মূল উদ্দেশ্য যে বিজ্ঞাপন প্রচার, সেই বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার।
উল্লেখ্য, নতুন এই স্মার্ট ডাস্টবিনগুলো কোনো একজন পথচারীর কাছে বারবার একই বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকবে এবং প্রতিবারই নতুন নতুন বিজ্ঞাপন প্রচার করবে।
—ম্যাশেবল অবলম্বনে প্রদীপ সাহা