(প্রিয়.কম) ‘পপাই দ্য সেইলরম্যান’ কার্টুনে হালকা-পাতলা গড়নের পপাইর শক্তির রহস্য কী? কী আবার, পালং শাক! পপাই যেভাবে পালং শাক খেয়ে ফুলে-ফেঁপে কুস্তিগিরে পরিণত হয় আর বিশাল বিশাল সব কাজ করে অলিভের মন জয় করে, তাতে পালং শাকের তারিফ না করে পারা যায় না।
তবে কার্টুনের জন্য কেবল নয়, পালং শাক স্বাস্থ্যকর হিসাবে পরিচিত নিজের গুণের কারণেই। মোটামুটি সারা বিশ্ব জুড়েই পরিচিত এই পালং শাল। মজার বিষয়টা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা এবার বলতে চাইছেন স্বাস্থ্যকর এই শাক এবার জ্বালানি যোগাবে গাড়িতেও!
হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। বিজ্ঞানীদের মতে পালং শাক হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে গাড়ির বিকল্প জ্বালানি! তাঁরা বলছেন, পালং শাকের রয়েছে বিশেষ এক ক্ষমতা। এই ক্ষমতার কারণেই সূর্যালোককে পরিচ্ছন্ন, কার্যকর ও বিকল্প জ্বালানির উৎসে রূপান্তরিত করতে পারে পালং শাক। সম্প্রতি ‘নেচার’ সাময়িকীতে গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
পারডিউ ও অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পালং শাকের নির্যাস থেকে একটি প্রোটিন কমপ্লেক্স পেয়েছেন, যার নাম ফটোসিস্টেম-২। প্রোটিন নির্যাসটি সংগ্রহ করার পর গবেষক দলটি সেটিকে লেজার রশ্মির সাহায্যে উত্তেজিত করেন এবং এভাবে তারা এর অণুগুলোর ইলেক্ট্রনের গঠনে হওয়া পরিবর্তনসমূহ রেকর্ড করেন। আলো পেলে প্রোটিনগুলো সক্রিয় হয় এবং এ গবেষণায় লেজারকে সূর্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষক ইউলিয়া পুষ্কর বলছিলেন, প্রোটিনগুলো সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে এবং সেটাও কার্যকারিতা হারের হিসাবে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত, যা অতুলনীয়। কৃত্রিম ফটোসিনথেসিস তৈরির উদ্দেশে বিকল্প শক্তির খোঁজে যে গবেষণা চলছে, তা অর্জনে এই সিস্টেমটাকে সম্পূর্ণ বুঝতে পারা অপরিহার্য এবং সেটা আবশ্যক বলেই মন্তব্য করেন ইউলিয়া। কৃত্রিম ফটোসিনথেসিসের মাধ্যমে সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত শক্তি থেকে পুনরায় নতুন করে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেনভিত্তিক জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব বলে জানান গবেষকরা।