Juvenile court

Author Topic: Juvenile court  (Read 964 times)

Offline AbdurRahim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 159
  • Test
    • View Profile
Juvenile court
« on: August 10, 2014, 01:56:43 PM »
Children court/ Juvinile court:
১৬. শিশু-আদালত নির্ধারণ, ইত্যাদি:অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে এবং, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে একটি আদালত থাকিবে, যাহা শিশু-আদালত নামে অভিহিত হইবে।আইন ও বিচার বিভাগ, সুপ্রিমকোর্ট’ এর সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলা এবং, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত দায়রা জজ এর আদালতকে শিশু-আদালত হিসাবে নির্ধারণ করিবে এবং একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হইলে উহাদের প্রত্যেকটির আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্দিষ্ট করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন জেলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ না থাকিলে উক্ত জেলা’র জেলা ও দায়রা জজ তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে শিশু-আদালতের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৭. শিশু-আদালতের অধিবেশন ও ক্ষমতা:আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোন মামলায় জড়িত থাকিলে, যেকোন আইনের অধীনেই হউক না কেন, উক্ত মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু-আদালতের থাকিবে।
কোন মামলায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সহিত কোন শিশু জড়িত থাকিলে, ধারা ১৫ এর অধীন পৃথক চার্জশীটের ভিত্তিতে, শিশু-আদালতকে উক্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, একই দিবসে পৃথকভাবে পৃথক অধিবেশনে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা একই নিয়মে পরবর্তী কর্মদিবসে বিরতিহীনভাবে অব্যাহত থাকিবে।
সাধারণতঃ যে সকল দালান বা কামরায় এবং যে সকল দিবস ও সময়ে প্রচলিত আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় উহা ব্যতীত, যতদূর সম্ভব, অন্য কোন দালান বা কামরায়, প্রচলিত আদালতের ন্যায় কাঠগড়া ও লালসালু ঘেরা আদালতকক্ষের পরিবর্তে একটি সাধারণ কক্ষে এবং অন্য কোন দিবস ও সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যতীত শুধুমাত্র শিশুর ক্ষেত্রে শিশু-আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
১৮শিশু-আদালতের এখতিয়ার:শিশু-আদালতের এখতিয়ার হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
(ক) ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের ক্ষমতাসমূহ;
(খ) সমন জারি , সাক্ষী তলব ও উপস্থিতি, কোন দলিলাদি বা বস্ত্ত উপস্থাপন এবং শপথ গ্রহণপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারসমূহ।

২৯. শিশু-আদালত কর্তৃক আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর জামিনে মুক্তি প্রদান:এই আইনসহ ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালতে হাজিরকৃত কোন শিশুর মামলা বিকল্প পন্থায় পরিচালনা করা না হইলে, শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে, অপরাধটি জামিনযোগ্য বা অজামিনযোগ্য যাহাই হউক না কেন, জামানতসহ বা জামানত ছাড়াই জামিনে মুক্তি প্রদানকরিতেপারিবে।

(২) শিশুর নিজের মুচলেকায় অথবা শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য, প্রবেশন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার, শিশু-আদালত যাহাকে উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, তত্ত্বাবধানে জামানত প্রদান সাপেক্ষে অথবা জামানত ছাড়া শিশুকে জামিন প্রদান করা যাইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন জামিন মঞ্জুর করা না হইলে শিশু-আদালত উক্তরূপ প্রত্যাখ্যানের কারণ লিপিবদ্ধ করিবে।
৩০.শিশু-আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়:এই আইনের অধীন কোন আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু-আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয় বিবেচনা করিবে, যথা :-
(ক) শিশুর বয়স ও লিঙ্গ;
(খ) শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা;
(গ) শিশুর শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিশু কোন্ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত;
(ঘ) শিশুর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক অবস্থা;
(ঙ) শিশুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা;
(চ) শিশুর ও তাহার পরিবারের জীবন-যাপন পদ্ধতি;
(ছ) অপরাধ সংঘটনের কারণ, দলবদ্ধতার তথ্য, সার্বিক পরিস্থিতি ও পটভূমি;
(জ) শিশুর অভিমত;
(ঝ) সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন; এবং
(ঞ) শিশুর সংশোধন ও সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আনুষঙ্গিক যে সকল বিষয় বিবেচনার্থে গ্রহণ করা আবশ্যক ও প্রয়োজন।
৩২.বিচার সমাপ্তির সময়সীমা:ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত উক্ত আদালতে শিশুর প্রথম উপস্থিত হইবার তারিখ হইতে ৩৬০ (তিনশত ষাট) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।

(২) কোন যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তব কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে শিশু-আদালত, উক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, সংশ্লিষ্ট বিচারকার্য সম্পন্নের সময়সীমা আরও ৬০ (ষাট) দিন বর্ধিত করিতে পারিবে।

(৩) শিশু-আদালতে বিচার আরম্ভ হইবার পর হইতে, বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে, একাদিক্রমে উহার কার্যক্রম প্রত্যেক কার্যদিবসে বিনা বিরতিতে চলিতে থাকিবে।

(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করা না হইলে সংশ্লিষ্ট শিশু, হত্যা, ধর্ষণ, দস্যুতা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন জঘন্য, ঘৃণ্য বা গুরুতর অপরাধের দায়ে দায়েরকৃত মামলা ব্যতীত, শিশু-আদালতের বিবেচনায় তাহার বিরুদ্ধে আনীত লঘু মাত্রার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি পাইবে এবং একই অপরাধের জন্য তাহার বিরু্দ্ধে অন্য কোন বিচার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট মামলায় কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অভিযুক্ত থাকিলে তাহার মামলা অব্যাহত থাকিবে।
৩৩.শিশুর ওপর নির্দিষ্ট ধরনের দণ্ড আরোপে বাধা-নিষেধ:(১) অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা কারাদণ্ড প্রদান করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশুকে যখন এইরূপ কোন মারাত্নক ধরনের অপরাধ সংঘটন করিতে দেখা যায় যে, তজ্জন্য এই আইনের অধীন প্রদানযোগ্য কোন আটকাদেশ আদালতের মতে পর্যাপ্ত নহে, অথবা আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে শিশুটি এত বেশি অবাধ্য অথবা ভ্রষ্ট চরিত্র যে তাহাকে কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা চলে না এবং অন্যান্য যে সকল আইনানুগ পন্থায় মামলাটির সুরাহা হইতে পারে উহাদের কোন একটিও তাহার জন্য উপযুক্ত নহে, তাহা হইলে শিশু-আদালত শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করিয়া কারাগারে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে :
আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপে প্রদেয় কারাদণ্ডেরর মেয়াদ তাহার অপরাধের জন্য প্রদেয় দণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের অধিক হইবে না :
আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কারাদণ্ডে থাকাকালীন যেকোন সময়ে শিশু-আদালত উপযুক্ত মনে করিলে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, এইরূপ কারাদণ্ডে আটক রাখিবার পরিবর্তে অভিযুক্ত শিশুকে, তাহার বয়স ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত, কোন প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে আটক রাখিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন কোন শিশুকে কারাদণ্ড প্রদান করা হইলে, তাহাকে কারাগারে অবস্থানরত অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক আসামীর সহিত মেলামেশা করিতে দেওয়া যাইবে না।
৩৪.শিশু-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আটকাদেশ, ইত্যাদি:কোন শিশু মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হইলে শিশু-আদালত তাহাকে অনুর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে আটকাদেশ প্রদান করিয়া শিশুউন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশু মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় নয় এমন কোন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হইলে শিশু-আদালত তাহাকে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে আটকাদেশ প্রদান করিয়া শিশু উন্নয়ন কেণ্দ্রে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) শিশু-আদালতের আদেশে অথবা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুর আচরণ, চারিত্রিক ও ব্যক্তিত্বের ইতিবাচক ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিলে এবং হত্যা, ধর্ষণ, দস্যুতা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন জঘন্য, ঘৃণ্য বা গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত না হইলে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট শিশুকে মুক্তি প্রদানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার অন্যূন ৩ (তিন) মাস পূর্বে, সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে।

(৩) হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা বা মাদক ব্যবসা বা অন্য কোন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইলে এবং মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকিলে অথবা উল্লিখিত অপরাধের মামলায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইলে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, শিশু-আদালতের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে কেন্দ্রীয় বা জেলা কারাগারে প্রেরণ করিবে।

(৪) কারাগার কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রেরিত ব্যক্তিকে, কারাগারে অবস্থানরত অন্য কোন আইনের অধীনে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন আসামীদের হইতে পৃথক করিয়া ভিন্ন ওয়ার্ডে রাখিবার ব্যবস্থা করিবে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাহার আটকাদেশের মেয়াদ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আটকাদেশের অবশিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অবস্থান করিবেন।

(৫) কোন শিশুর বিচার প্রক্রিয়া ১৮ (আঠার) বৎসর পূর্ণ হইবার পর সমাপ্ত হইলে এবং বিচার সমাপ্তির পর তাহাকে আটকাদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত শিশুকে শিশু-আদালত সরাসরি কেন্দ্রীয় বা জেলা কারাগারে প্রেরণ করিবে।



(৬) এই ধারায় ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, কোন শিশুকে উপ-ধারা (১) এর অধীন শিশুউন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখিবার পরিবর্তে যথাযথ সতর্কীকরণের পর খালাস প্রদানের অথবা সদাচারণের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৭) কোন শিশুকে, উপ-ধারা (৬) এর অধীন, প্রবেশনে মুক্তির ক্ষেত্রে শিশু-আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অথবা তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য অথবা অন্য কোন উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন শিশুকে তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যের অনুকূলে সোপর্দ করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উক্ত শিশুর, অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কাল, সদাচরণের জন্য দায়ী থাকিবেন মর্মে জামিনসহ বা বিনা জামিনে অথবা আদালত যেইরূপ নির্দেশ প্রদান করিবে সেইরূপ মুচলেকা প্রদান করিতে হইবে।

(৮) প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তি অথবা অন্য কোনভাবে যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, প্রবেশনে মুক্ত শিশু তাহার প্রবেশনকালে সদাচরণ করে নাই, তাহা হইলে আদালত, যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ তদন্ত করিবার পর, সংশ্লিষ্ট শিশুকে প্রবেশনের অসমাপ্ত সময়ের জন্য প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে আটক রাখিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৩৫.নির্দিষ্ট বিরতিতে পর্যালোচনা ও মুক্তি প্রদান:(১) শিশু-আদালতের প্রত্যেক আদেশে ইহা নির্দিষ্ট বিরতিতে পর্যালোচনা করিবার বিধান অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যাহার মাধ্যমে শিশু-আদালত ইহার প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা করিতে পারিবে এবং শিশুকে শর্ত সাপেক্ষে বা বিনা শর্তে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবে।

(২) সরকার যেকোন সময়, ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে প্রাপ্ত সুপারিশ বিবেচনা করিয়া, আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশুকে শিশুউন্নয়ন কেন্দ্র বা প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠান হইতে বিনা শর্তে বা তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য বিষয়টি জাতীয় শিশুকল্যাণ বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।
৪১.আপিল ও পুনর্বিবেচনা:(১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন শিশু-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ হাইকোর্ট বিভাগে পুনর্বিবেচনা (revision) করিবার ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করিবে না।
(৩) এই ধারার অধীন আপিল বা, ক্ষেত্রমত, পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করা হইলে উক্ত আবেদনটি দায়েরের তারিখ হইতে অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
৪৪.গ্রেফতার, ইত্যাদি:(১) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ৯ (নয়) বৎসরের নিম্নের কোন শিশুকে কোন অবস্থাতেই গ্রেফতার করা বা, ক্ষেত্রমত, আটক রাখা যাইবে না।
(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শিশুকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ সংক্রান্ত কোন আইনের অধীন গ্রেফতার বা আটক করা যাইবে না।
(৩) শিশুকে গ্রেফতার করিবার পর গ্রেফতারকারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারের কারণ, স্থান, অভিযোগের বিষয়বস্ত্ত, ইত্যাদি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন এবং প্রাথমিকভাবে তাহার বয়স নির্ধারণ করিয়া নথিতে লিপিবদ্ধ করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, গ্রেফতার করিবার পর কোন শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি বা রশি লাগানো যাইবে না।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা, উক্ত সনদের অবর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট বা স্কুলে ভর্তির সময় প্রদত্ত তারিখসহ প্রাসঙ্গিক দলিলাদি উদ্ঘাটনপূর্বক যাচাই-বাছাই করিয়া তাহার বয়স লিপিবদ্ধ করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একজন শিশু কিন্তু সম্ভাব্য সকল চেষ্টা করিয়াও দালিলিক প্রমাণ দ্বারা তাহা নিশ্চিত হওয়া যায় না, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে এই আইনের বিধান অনুযায়ী শিশু হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট থানায় শিশুর জন্য উপযোগী কোন নিরাপদ স্থান না থাকিলে গ্রেফতারের পর হইতে আদালতে হাজির না করা সময় পর্যন্ত শিশুকে নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার ক্ষেত্রে শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক বা ইতোমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন এইরূপ কোন শিশু বা অপরাধী এবংআইনের সংস্পর্শে আসা কোন শিশুর সহিত একত্রে রাখা যাইবে না।
৪৫.মাতা-পিতা ও প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ:(১) কোন শিশুকে গ্রেফতারের পর গ্রেফতারকারী কর্মকর্তা কর্তৃক থানায় আনয়ন করিলে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা, চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত বিধানাবলীকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক) শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে;
(খ) প্রবেশন কর্মকর্তাকে; এবং
(গ) প্রয়োজনে, নিকটস্থ বোর্ডকে;-
উক্ত গ্রেফতার সম্পর্কে অবহিত করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য এবং প্রবেশন কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমত, বোর্ডকে অবহিত করা সম্ভব না হইলে সংশ্লিষ্ট শিশুকে আদালতে হাজির করিবার প্রথম দিবসে উক্তরূপ বিধান অনুসরণ না করিবার কারণ সংবলিত একটি প্রতিবেদন শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক আদালতে দাখিল করিতে হইবে।
৪৮.বিকল্প পন্থা (diversion): (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে গ্রেফতার বা আটকের পর হইতে বিচার কার্যক্রমের যেকোন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রমের পরিবর্তে, শিশুর পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থিক, নৃতাত্ত্বিক, মনস্তাত্ত্বিক ও শিক্ষাগত পটভূমি বিবেচনাপূর্বক, বিরোধীয় বিষয় মীমাংসাসহ তাহার সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিতকল্পে বিকল্প পন্থা (diversion) গ্রহণ করা যাইবে।
(২) ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশুর গ্রেফতারের পর হইতে বিচার কার্যক্রমের যেকোন পর্যায়ে, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, শিশু-আদালত আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়ার পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির নিমিত্ত বিকল্প পন্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিকল্প পন্থা গ্রহণ করা হইলে সংশ্লিষ্ট শিশু, তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য বিকল্প পন্থার শর্ত প্রতিপালন করিতেছে কি না প্রবেশন কর্মকর্তা তাহা লক্ষ্য রাখিবেন এবং বিষয়টি, সময় সময়, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, শিশু-আদালতকে অবহিত করিবেন।
(৪) শিশু, তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য বিকল্প পন্থার কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে প্রবেশন কর্মকর্তা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, শিশু-আদালতকে অবহিত করিবেন।
(৫) বিকল্প পন্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৬) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অধিদপ্তর বিকল্প পন্থা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ যুগোপযোগী ও বাস্তবায়নযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।
৪৯.পারিবারিক সম্মেলন:(১) ধারা ৪৮ এর অধীন বিকল্প পন্থা গ্রহণ করা হইলে প্রবেশন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিরোধ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারিবারিক সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) পারিবারিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ সমঝোতার ভিত্তিতে সম্মেলনের কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ ও অনুসরণ করিয়া শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিতকল্পে পরিকল্পনা গ্রহণ করিতে পারিবেন যাহা শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করিতে হইবে।
(৩) কোন বিশেষ ক্ষেত্রে কোন শিশুকে বিকল্প পন্থায় প্রেরণের সময় শিশু-আদালত বা ক্ষেত্রমত, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা পারিবারিক সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে এবং প্রবেশন কর্মকর্তা সেই মোতাবেক পারিবারিক সম্মেলনের আয়োজন করিবেন।
(৪) শিশু, বা তাহার মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য পারিবারিক সম্মেলনে গৃহীত কোন সিদ্ধান্তের শর্ত ভঙ্গ বা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইলে প্রবেশন কর্মকর্তা উহা লিখিতভাবে শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।
(৫) পারিবারিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে ব্যর্থ হইলে সম্মেলনটি বাতিল হইয়া যাইবে এবং ভিন্নরূপ একটি বিকল্প পন্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রবেশন কর্মকর্তা বিষয়টি শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত, শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার নিকট ফেরত পাঠাইবেন।
(৬) পারিবারিক সম্মেলনের কার্যক্রমসমূহ গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কোন ব্যক্তির কোন বক্তব্য পরবর্তীতে কোন আদালতের বিচার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে না।
৫০.বিকল্প পন্থার মেয়াদ:(১) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি অনুযায়ী শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে বিকল্প পন্থা গ্রহণ ও সমাপ্ত করিতে হইবে।

(২) অপরাধ সংঘটনকারী শিশু বিকল্প পন্থা অবলম্বনে ইতিবাচক সাড়া প্রদান করিলে, বিকল্প পন্থা নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বেই সমাপ্ত করা যাইবে।
৫১.বিকল্প পন্থার শর্ত ভঙ্গ বা বিকল্প পন্থার আদেশ পালনে ব্যর্থতা:এই আইনের বিধান অনুসারে প্রবেশন কর্মকর্তার প্রতিবেদন প্রাপ্ত হইয়া বা অন্য কোনভাবে যদি শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, শিশু, শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্য বিকল্প পন্থার শর্ত ভঙ্গ করিয়াছেন বা বিকল্প পন্থা সংক্রান্ত কোন আদেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে বিষয়টি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে যাচাইপূর্বক শিশু-আদালত বা, ক্ষেত্রমত শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা-

(ক) পরিবর্তিত শর্তে একই ধরনের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে;

(খ) শিশুটিকে গ্রেফতার করিবার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করিতে পারিবে;

(গ) শিশুটিকে শিশু-আদালতে বা থানায় হাজির হইবার জন্য লিখিত নোটিশ প্রদান করিতে পারিবে;

(ঘ) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর নিকট সংশ্লিষ্ট শিশুর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া আরম্ভ করিবার জন্য নথি প্রেরণ করিতে পারিবে;

(ঙ) শিশুটিকে প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে; অথবা

(চ) এই আইনের অধীন অন্য কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৫৩.আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু সম্পর্কে অবহিত করিবার দায়িত্ব:কোন ব্যক্তি যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করেন যে, কোন শিশু অপরাধমূলক ঘটনার শিকার বা কোন অপরাধের সাক্ষী তাহা হইলে তিনি উহা শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তা বা সমাজকর্মীকে অবহিত করিবেন এবং উক্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রবেশন কর্মকর্তা বা সমাজকর্মী উক্ত শিশুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে.
৫৪.আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা ও সুরক্ষা:(১) বিচার প্রক্রিয়ার সকল পর্যায়ে আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বয়স, লিঙ্গ এবং অক্ষমতা ও পরিপক্কতার বিষয়সমূহ বিবেচনায় লইতে হইবে।

(২) শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক বিশেষ শিশুবান্ধব পরিবেশে আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে উক্ত শিশুর মাতা-পিতা অথবা তাহাদের অবর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা বর্ধিত পরিবারের সদস্য এবং প্রবেশন কর্মকর্তার, যাহাদের উপস্থিতিতে শিশু সাক্ষাৎকার প্রদানে রাজি থাকে বা স্বাচ্ছন্দবোধ করে, উপস্থিতিতে একজন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করিতে হইবে।



(৩) আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করিয়া শিশুর সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করিবার জন্য শিশু-আদালত নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা :

(ক) বিচার প্রক্রিয়ার সহিত সংশ্লিষ্ট আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর সকল তথ্য গোপন রাখা এবং এমন কোন তথ্য প্রকাশ না করা, যাহার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিশুটিকে শনাক্ত করা যায়;

(খ) সাক্ষ্য প্রদানকারী শিশুর ছবি বা দৈহিক বর্ণনা গোপন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ অথবা শিশুর ক্ষতি প্রতিরোধ করিবার জন্য, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণ করা:-

(অ) পর্দার আড়ালে;

(আ) শুনানির পূর্বে শিশু-সাক্ষীর ভিডিওকৃত সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে, তবে উক্ত ক্ষেত্রে সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামীপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট শিশুকে জেরা করিবার সুযোগ প্রদান করিতে হইবে;

(ই) একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও উপযু্ক্ত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে;

(ঈ) দ্বারবদ্ধ (Camera Trial) অধিবেশন পরিচালনার মাধ্যমে; বা

(উ) ভিডিও লিংকেজ পদ্ধতি চালু হইলে উক্ত পদ্ধতিতে;

(গ) আসামীর উপস্থিতিতে শিশু সাক্ষ্য প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে বা যদি এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে শিশুটি সত্য কথা বলিতে বাধাগ্রস্ত হইতে পারে, তাহা হইলে আসামীকে সাময়িকভাবে পুলিশের হেফাজতে আদালত পরিত্যাগের আদেশ প্রদান করা; তবে উক্ত ক্ষেত্রে আসামী পক্ষের আইনজীবীকে আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকিতে এবং শিশুকে প্রশ্ন করিবার সুযোগ প্রদান করিতে হইবে;
(ঘ) শিশুর সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বিরতির সুযোগ প্রদান করা;
(ঙ) শিশুর বয়স ও পরিপক্কতার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ দিন ও তারিখে শুনানির সময়সূচি নির্ধারণ করা; এবং

(চ) মামলার সাক্ষী বা ভিকটিম হিসাবে সাক্ষ্য প্রদানকালে, সাক্ষ্য প্রদানের পূর্বে ও পরে শিশুকে তাহার অভিভাবকসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করা; বা
(ছ) শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ এবং আসামীর অধিকার বিবেচনায় আনিয়া আদালত যেইরূপ বিবেচনা করিবে, সেইরূপ অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা।
(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করিয়া শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করিবার জন্য শিশু-আদালত পদ্ধতি নির্ধারণপূর্বক বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ মীমাংসার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

« Last Edit: August 10, 2014, 02:13:49 PM by AbdurRahim »

Offline Ferdousi Begum

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 823
  • Don't give up.
    • View Profile
Re: Juvenile court
« Reply #1 on: September 01, 2014, 01:56:38 PM »
কোন আইনের অধীনে সেটি উল্লেখ করলে ভাল হত।